সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ৬ নভেম্বর: এক আদিবাসী ছাত্রীর শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে কোতুলপুরে। নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে কোতুলপুর থানায়। এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হতে থাকেন এলাকার আদিবাসীরা। অন্যদিকে এই অভিযোগ দায়েরের এক ঘন্টার মধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতকে বুধবার বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের মতোই মঙ্গলবার সন্ধেয় সাইকেলে করে বান্ধবীদের সঙ্গে নবম শ্রেণির ওই ছাত্রী গ্রাম থেকে বেশ কিছুটা দূরে টিউশান পড়তে যায়। সন্ধে ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত টিউশান চলার কথা। কিন্তু মঙ্গলবার স্থানীয় এলাকায় কালী প্রতিমার বিসর্জন থাকায় সাতটা নাগাদ টিউশান ছুটি হয়ে যায়। এক বান্ধবীর সাইকেলে চড়ে নবম শ্রেণির ওই ছাত্রী বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয়।অভিযোগ, বাড়ি ফেরার পথে কালী মন্দিরের সামনে থেকে এক যুবক তাদের অনুসরণ করে। অন্ধকার ও ফাঁকা জায়গায় আসতেই সাইকেলে বসে থাকা ওই ছাত্রীকে পিছন থেকে জাপটে ধরে। চলন্ত সাইকেল থেকে রাস্তায় ফেলে দেয় ছাত্রীটিকে। সেই সময় তার শ্লীলতাহানি করে যুবকটি। এমনকি ছাত্রীটিকে ধর্ষণের চেষ্টাও করা হয় বলে অভিযোগ। ছাত্রীর সঙ্গে থাকা অন্য বান্ধবীরা নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে ফের গৃহশিক্ষকের কাছে ফিরে যায়। ওই শিক্ষক ফোন করে গোটা বিষটি নির্যাতিতার পরিবারকে জানায়।
এরপর নির্যাতিতার গ্রামের লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে অভিযুক্তর গ্রামে যায়। কিন্তু অভিযুক্তর বাড়ি তালাবন্ধ থাকায় তারা কোতুলপুর থানায় গিয়ে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ দায়েরের ৪৫ মিনিটের মধ্যে স্থানীয় এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই ঘটনায় অভিযুক্তর কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন নির্যাতিতার পরিবার ও এলাকার বাসিন্দারা। অভিযুক্তর কঠোরতম শাস্তির ব্যবস্থা না হলে আইন নিজেদের হাতে তুলে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নির্যাতিতার গ্রামের বাসিন্দারা।
নির্যাতিতার মা বলেন, “অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে আমার মেয়েকে জাপটে ধরে সাইকেল থেকে ফেলে দেয়। আমার মেয়ে উঠতে পারেনি। তখনই শ্লীলতাহানি করে।