আমাদের ভারত, জলপাইগুড়ি, ২৯ এপ্রিল: স্ত্রীকে কীটনাশক খাইয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের মণ্ডলঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের বামন পাড়ার ঘটনা।
তিন বছর আগে মণ্ডলঘাটের বামন পাড়ার বাসিন্দা শহিদুল হকের সঙ্গে বিয়ে হয় সদর ব্লকের গড়াল বাড়ির বলিপাড়া গ্রামের আমির মহম্মদের মেয়ে আয়েশা খাতুনের। এই শহিদুল হক এর আগেও দুটো বিয়ে করছে। প্রথম স্ত্রী তার মারা যায়। পরে আরেকটি বিয়ে করে তাকে নিয়ে কিছুদিন সংসার করে সেই সংসসারে তিন মেয়ে এবং এক ছেলে রয়েছে। পরে আবার আয়েশা খাতুনকে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে নতুন স্ত্রীর উপর অত্যাচার করতো শহিদুল বলে অভিযোগ। তাদেরও দেড় মাসের পুত্র সন্তান রয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এদিন ভোর রাতে ছোট স্ত্রীকে কীটনাশক দিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠে।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, প্রতিদিন তাদের মধ্যে কিছু না কিছু বিষয় নিয়ে ঝামেলা হত। এদিনের ঘটনার পর পড়শিরা ছুটে যায়, ততক্ষণে অভিযুক্ত স্বামী ছোট ছেলেকে নিয়ে পালিয়ে যায়। অভিযুক্তের শাস্তির দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসীরা। জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশ মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যান। গ্রামবাসীরা বলেন, এই মৃতদেহটি তার শ্বশুরবাড়িতে দাফন করা হবে।
মৃতার বাবা আমির হুসেন বলেন, “আমার মেয়েকে খুন করা হয়েছে। এখন বাড়িতে কেউ নেই। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।”
মৃতার ভাই আতিবুল ইসলাম বলেন, “খবর পেয়ে দিদির শ্বশুর বাড়িতে এসে দেখি দিদি বিছানায় মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। বাড়ির সকলে পলাতক।”
পুলিশ জানায়, ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
আইসি সঞ্জয় দত্ত বলেন, “অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্ত শুরু হয়েছে।”