আমাদের ভারত, ৬ ফেব্রুয়ারি: রবিবার কলকাতায় এসে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের ক্যামাক স্ট্রিটের দফতরে তাঁকে উত্তরীয় পরিয়ে দলে যোগদান করান। এই নিয়ে ষষ্ঠ বিজেপি বিধায়ক যোগ দিলেন তৃণমূলে। সোমবার এ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বললেন, বিধানসভার ভিতরে স্বীকার করুন এই দলত্যাগ প্রসঙ্গ।
টুইটারে অভিষেক-সুমনের সাক্ষাৎকারের ছবি যুক্ত করে শুভেন্দুবাবু লিখেছেন, “আপনি কি ভারতীয় সংবিধানের দশম তফসিল (দলত্যাগ বিরোধী আইন) নিয়ে ভয় পাচ্ছেন? তৃণমূলের পতাকা তুলে দিচ্ছেন না? কারণ, বিধানসভার অভ্যন্তরে, যেমন মুকুল রায়ের ক্ষেত্রে, টিএমসি’র তরফে তাঁকে বিজেপি হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল।
সুমন কাঞ্জিলালও দাবি করবেন যে তিনি বিজেপির সদস্য, বিধায়ক। ভাইপো, আমি আপনাকে সাহস দিচ্ছি, সুমন কাঞ্জিলালকে টেপে এবং বিধানসভার ভিতরে স্বীকার করতে বলুন যে তিনি টিএমসিতে যোগ দিয়েছেন এবং বিজেপি ছেড়েছেন। আসুন স্পিকারকেও এর মধ্যে জড়িত করি। সুমন কাঞ্জিলাল কেন আলিপুরদুয়ারবাসীদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন তার জবাব দিতে হবে।
বিজেপি এই ধরনের চমকে প্রভাবিত হয় না। আমি শীঘ্রই আলিপুরদুয়ারে গিয়ে ভোটদাতাদের সাথে দেখা করতে যাচ্ছি। যাঁরা সুমন কাঞ্জিলালের দ্বারা প্রতারিত হয়েছেন তাঁদের এবং বিজেপি কর্মীদের দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইকে আরও তীব্র করতে হবে। গণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা থেকে তৃণমূলকে অপসারণ করতে উৎসাহিত করব৷”
প্রসঙ্গত, গত বিধানসভা ভোটে ৭৭টি আসনে জিতেছিল বিজেপি। দলের দুই সাংসদও জয়ী হয়েছিলেন বিধায়ক পদে। তাঁরা অবশ্য পরে বিধায়ক পদ ছেড়ে দেন। ওই দুটি আসনের উপনির্বাচনেই জয় পায় তৃণমূল। বর্তমানে বিধানসভায় খাতায় কলমে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ৭৫ হলেও, ৬ জন বিধায়কের দলবদলে কার্যত এই সংখ্যা ৬৯-এ নামল।