পুরোনা সেই দিনের কথা

অশোক সেনগুপ্ত
আমাদের ভারত, ২৩ জানুয়ারি: হিসেব করে দেখলাম উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছি ৪৮ বছর হয়ে গেল। স্মৃতির ধারাপাতে বিস্মরণের ধূলোর প্রলেপ তাই বেশ গভীর। সেই আস্তরন সরিরে যেই ঢুকলাম স্কুলে, প্রথমেই চোখে ভাসে বাঁ দিকে খেলার সেই মাঠ আর সামনে পেল্লাই হলঘর।

ষাটের দশকের প্রথমার্দ্ধে ক্লাশ থ্রিতে ভর্তি হয়েছিলাম বালিগঞ্জ গভর্নমেন্টে। সেন্ট লরেন্সেও সুযোগ পেয়েছিলাম। বাবা এই স্কুলেই দিলেন। সে সময় উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম ১০ জন স্থানাধিকারীর নাম ঘোষণা করা হত। তার মধ্যে ক’টা বাধা থাকত হিন্দু, হেয়ার, বালিগঞ্জ গভর্নমেন্ট— এই তিনটিতে। ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলের রমরমা শুরু হয়নি তখনও।

১৯৭৪-এ যখন এইচএস পাশ করলাম, দুই সহপাঠী অঞ্জন আর সোমপ্রকাশ ফার্স্ট আর থার্ড হয়েছিল। পরে দোতলায় সিঁড়ির মুখে ওপরদিকে স্থাপন করা হয় মেরিট বোর্ড। তাতে এইচএস-এ স্কুলের কৃতিদের নামতালিকা।

স্কুলের ওই মাঠে শুকনো ডাবের খোলা দিয়ে আমরা টিফিনে বা অবসরে ফুটবল খেলতাম। এই সেদিন প্রাক্তন ক্রিকেটার রাজু মুখার্জির সঙ্গে কথা হচ্ছিল। ওঁর স্কুল, কলেজ দুটোই ছিল সেন্ট জেভিয়ার্স। বালিগঞ্জ গভর্নমেন্ট প্রসঙ্গ উঠতেই বললেন, “আরে! ওই মাঠে তো কত ক্রিকেট খেলেছি!” হলঘরে হত নানা অনুষ্ঠান। প্রাক্তনী সত্যজিৎ রায় তাঁর ’যখন ছোট ছিলাম’-এ ওই হলঘরের স্কেচ এঁকেছিলেন।

ছয়ের দশকের শেষদিকে টিচারদের মধ্যে দীর্ঘকায় সুধীর স্যার, মজাদার বিশ্বপ্রিয়বাবুর কথা মনে আছে। খর্বাকৃতি, পুরু লেন্সের চশমাপড়া অঙ্কশিক্ষক সুনীলবাবু ছিলেন খুব গুরুত্বপূর্ণ। পরে স্কুলে গণিতের শিক্ষক হিসাবে ছিলেন সুরেশ পাল। সুধীরবাবু বিয়ে করেছিলেন স্কুলেরই মর্নিং সেকশনের শিক্ষিকা ছায়াদি-কে। মর্নিং সেকশনের আর এক শিক্ষিকাকে মনে আছে- ইন্দিরা দি।

হেডস্যর নারায়ণ চন্দ্র চন্দ্র আদর্শ শিক্ষকের পুরস্কার পেয়েছিলেন।তাঁর লেখা শিক্ষামূলক বই ছিল। মৃদুভাষী বাংলা শিক্ষক নিমাই চক্রবর্তী পড়াতেন- “ওরে সবুজ, ওরে আমার কাঁচা/ আধমরাদের ঘা মেরে তুই বাঁচা।” বাংলা আমার প্রিয় বিষয় ছিল। উনি আমাকে হয়ত এ কারণে সুনজরে দেখতেন। পরে প্রধান শিক্ষক হয়েছিলেন। সামান্য মনে আছে স্বদেশবাবু, শৈলেশবাবু, অমরবাবুর কথা।

আর ইংরেজির সুপ্রভাতবাবু তো ছিলেনই। স্কুল আর ছাত্ররাই আজীবন ছিল তাঁর পরিবার। প্রায় একাই থাকতেন। সেই ব্রিটিশ আমল থেকে ২০১৩ পর্যন্ত রাইটার্স বিল্ডিংস ছিল রাজ্যের প্রধান প্রশাসনিক কার্যালয়। ওটাই আনন্দবাজার পত্রিকার সাংবাদিক হিসাবে সংবাদ সংগ্রহের মূল ঘাঁটি ছিল বেশ ক’বছর। প্রসাদ রঞ্জন রায় তখন স্বরাষ্ট্রসচিব, গৌতম মোহন চক্রবর্তী পুলিশ কমিশনার। এক দুপুরে হঠাৎ সিপি এলেন প্রসাদবাবুর ঘরে। একটু পরে দু’জনে একসঙ্গে বেড়িয়ে গেলেন। চারদিকে রাজনৈতিক অস্থিরতা! বড় খবরের গন্ধ পেলাম আমরা। এভাবে ওঁরা দুজন বেড়িয়ে গেলেন! খোঁজ নিয়ে জানলাম, সুপ্রকাশবাবু আর নেই। ওঁর দুই প্রাক্তন ছাত্র চরম ব্যস্ততার মধ্যেও খবর পেয়ে মহাকরণ থেকে সে দিন সোজা গিয়েছিলেন স্যারকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে।

অনেকের জানা নেই বালিগঞ্জ গভর্নমেন্টের আদি যুগে এক স্মরণীয় শিক্ষক ছিলেন গোলাম মোস্তফা। বাংলা সাহিত্যের এই ব্যক্তিত্ব জন্ম ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দ, বাংলা ১৩০২ সালের ৭ পৌষ ঝিনাইদহ জেলায়। ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে ব্যারাকপুর সরকারি হাইস্কুলে শিক্ষকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু। ১৯২২-এ ডেভিড হেয়ার ট্রেনিং কলেজ থেকে বিটি পাশের পর বালিগঞ্জ গভর্নমেন্ট সহ কলকাতার একাধিক সরকারি হাইস্কুলে শিক্ষক এবং বাঁকুড়া ও ফরিদপুর জেলা স্কুলে প্রধান শিক্ষকের পদে চাকরি করেন। ১৯৫০-এ স্বেচ্ছাবসর নেন।

দীর্ঘ ৫০ বছর বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ ও সাহিত্যকর্মে অনন্য অবদানের জন্য গোলাম মোস্তফা ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে ‘প্রেসিডেন্ট পদক’ এবং ‘সেতারা-ই-ইমতিয়াজ’ উপাধি লাভ করেন। তিনি করাচির ইকবাল একাডেমি এবং ঢাকার বাংলা একাডেমির আজীবন সদস্য ছাড়াও কেন্দ্রীয় বাংলা উন্নয়ন বোর্ড-এর নির্বাহী সদস্য, ন্যাশনাল বুক সেন্টার অব পাকিস্তান (ঢাকা)-এর সদস্য, ইসলামিক একাডেমি, ঢাকার সদস্য, উর্দু-বাংলা উন্নয়ন বোর্ড-লাহোরের সদস্য, জাতীয় উন্নয়ন ব্যুরো, পূর্ব পাকিস্তান স্কুল টেক্সট বুক বোর্ড, পাকিস্তান মজলিশ, রওনক, পাকিস্তান রাইটার্স গিল্ড প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানের তিনি সদস্য ও কর্মকর্তা, আন্তর্জাতিক লেখক সংস্থা ‘পিইএন-এর কেন্দ্রীয় পাকিস্তান শাখা এবং পূর্ব পাকিস্তান শাখার অন্যতম কর্মকর্তা ছিলেন। ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দের ১৩ অক্টোবর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।

স্কুল ছাড়ার পর সেন্ট জেভিয়ার্স, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, তিনটি সংস্থায় কম্পিউটার পেশায় কিছুকাল চাকরির পর সাংবাদিকতায় যোগ দিই। তিন দশকের ওপর আনন্দবাজার পত্রিকায় (মাঝে কয়েক বছর জার্মানিতে প্রবাসে) কাটিয়ে ২০১৬-তে অবসর নিয়েছি। স্কুলে খুব একটা আসা হয়নি। বছর চার আগে আমার প্রয়াত পিতৃদেবের স্মৃতির স্মরণে স্কুলের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পুরস্কার বিতরণের অবকাশ হয়েছিল আমার। সঙ্গে ছিলেন আমার দুই বোন, ভাগ্নে।

মনে হল সময় যেন থমকে আছে। বারান্দা ধরে ধরে ক্লাশগুলো দেখে মনে পড়ছিল পুরনো দিনগুলোর কথা। দেখলাম তিন তলার সংযোজন হয়েছে। আর সব কিছু প্রায় একই। সেই মাঠ, হলঘর, গোলাকার বাঁধানো বেদীর গাছ। মূল ভবনে ঢোকার মুখে দেওয়ালে সুন্দর কারুকাজ অবশ্য আমাদের সময় ছিল না। ছিল না মূল ফটকের বাঁধানো তোরণ।

স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রদের মধ্যে সত্যজিত রায়, শম্ভু মিত্র, ঋত্বিক ঘটক, আর ডি বর্মণ- এঁদের কথা প্রায় সবাই জানেন। বাংলার সারস্বত জগতের অন্যতম নক্ষত্র তপন রায়চৌধুরী, নবারুণ ভট্টাচার্য, অভিনেতা রজতাভ দত্ত- প্রতিষ্ঠিত প্রাক্তনীদের তালিকা অতি দীর্ঘ!

কিন্তু এই প্রজন্মের অনেকে জানেন না, এ রকম ২-৩ জনের কথা সামান্য বলতে চাই। ওদের একজন মাহমুদ মামুন (১৯২৮-১৯৭১) ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ। প্রকৃত নাম সালাউদ্দীন মাহমুদ। ১৯২৮ সালের ১৭ নভেম্বর চট্টগ্রামে জন্ম। বাবা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ ছিলেন চিকিৎসক, মা সামসুন্নাহার মাহমুদ বিশিষ্ট লেখক ও নারী মুক্তি আন্দোলনের নেত্রী। মামুন মাহমুদ ১৯৪৩ সালে কলকাতার বালিগঞ্জ গভর্নমেন্ট হাইস্কুল থেকে প্রবেশিকা, ১৯৪৫ সালে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে আইএ পাস করেন। ভারত ভাগের পর তিনি পূর্ব বাংলায় গিয়ে এমএ পাশ করেন। ১৯৭১ সালে রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি ছিলেন।২৬ মার্চ সকালে পাকবাহিনীর একজন ক্যাপ্টেন ট্রেজারিতে ঢুকতে চাইলে পুলিশ তাঁকে বাধা দেয়। তাদের গ্রেফতারের জন্য চাপ দিলে মামুন রাজি হননি। সে দিনই সন্ধ্যায় একজন পাক অফিসার তাঁকে রাজশাহী ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে যায়। এর পর থেকে তাঁর আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। ১৩ এপ্রিল আকাশবাণী কলকাতার বাংলা খবরে রাজশাহীর ডিআইজি নিহতের কথা প্রচারিত হয়। মামুন মাহমুদ ছিলেন রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হল, ওয়ারী ক্লাব এবং পুলিশ দলের তালিকাভুক্ত ফুটবল খেলোয়াড়, পাকিস্তান ফুটবল ফেডারেশন রেফারিজ বোর্ডের চেয়ারম্যান, ১৯৫৬ সাল থেকে প্রকাশিত পুলিশ পত্রিকা ‘ডিটেকটিভ’-এর প্রথম সম্পাদক। ১৯৫৪ সালে কুড়িগ্রাম ক্রিকেট ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেন। বাংলাদেশ সরকার ১৯৯৫ সালের ১৪ ডিসেম্বর ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে’ তাঁর নামে স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করে। এ ছাড়া ঢাকার একটি সড়কের নামকরণ হয় তাঁর স্মৃতিতে।

বালিগঞ্জ গভর্নমেন্টের আর এক কৃতী প্রাক্তনীকেও এ যুগের অধিকাংশ লোক জানেন না। তিনি হলেন বাংলা কল্পবিজ্ঞান জগতের একটি বিখ্যাত নাম সিদ্ধার্থ ঘোষ। আসল নাম অমিতাভ ঘোষ। জন্ম ১৯৪৮ সালের ১৫ অক্টোবর মাসে কলকাতায়। ছোটবেলা তার আনন্দে কেটেছে ভবানীপুরের মামার বাড়ীতে। সেখান থেকে বন্ধুদের সাথে হাতে লিখে ওয়াল ম্যাগাজিন বের করতেন। একাদশ শ্রেণীতে বিদ্যালয়ের ‘অলরাউন্ডার পারফরমান্স’-এর পুরস্কার পান। ১৯৭১ সালে তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পাশ করেও নকশাল আন্দোলনের সাথে জড়িয়ে পড়ে পড়াশুনার এক বছর নষ্ট করেন। রাজনৈতিক সাহিত্য প্রকাশনার কয়েক বছর পরে শুরু করেন তৎকালীন বাংলার সামাজিক আন্দোলন নিয়ে লেখালিখি। বিড়লা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড টেকনোলজিক্যাল মিউজিয়ামে কাজ করার সময়ে তিনি ‘সিদ্ধার্থ ঘোষ’ ছদ্মনামে বাংলা গল্প, উপন্যাস লেখা শুরু করেন। পরে যোগ দেন ‘ন্যাশানাল ইনস্ট্রুমেন্টস’ এবং ‘সেন্ট্রাল গ্লাস অ্যান্ড সেরামিক রিসার্চ ইন্সটিটিউট’-এ। আরও পরে নব্বই-এর দশকে তিনি কাজ করেছেন ‘National Institute of Science, Technology and Development Studies’ (NISTADS)-র বিজ্ঞানী হিসেবে। বছর দুই যুক্ত ছিলেন এশিয়াটিক সোসাইটিতে, শেষ চার বছর ছিলেন “Centre for Studies in Social Sciences, Kolkata”-এ। বহুমুখী প্রতিভার এই অনন্য উদাহরণ ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার, কিন্তু মূল পরিচয় সাহিত্যিক-সংগ্রাহক-গবেষক-সম্পাদক। ছবি তোলা, সঙ্গীত ও তার রেকর্ডিং, মুদ্রণ শিল্প, পুরনো কলকাতা, কারিগরি বিদ্যার ইতিহাস, ডিটেকটিভ ও বিজ্ঞান আর কল্পবিজ্ঞান গল্পের ক্রমবিকাশ, সিনেমার আদি যুগ ইত্যাদি বহু বিচিত্র বিষয় নিয়ে চর্চা করে গিয়েছেন। বিভিন্ন তথ্যের উপর নির্ভর করে অনেক বিজ্ঞানভিত্তিক কাহিনি আমাদের উপহার দিয়েছেন। বই লিখেছেন ৫০টিরও বেশি এবং মূলত বাংলায়। তিনি একাধারে লিখেছেন কল্পবিজ্ঞান, ফটোগ্রাফি, যন্ত্রবিদ্যা, প্রবন্ধ, ছোট গল্প, পাশাপাশি করেছেন সুন্দর সব অনুবাদ, লিখেছেন শিশুদের জন্যও। ১৯৯২ সালে স্টকহলমে অনুষ্ঠিত সায়েন্স ফিক্‌শন অনুষ্ঠান ‘ফ্যান্টাসটিকা-৯২’-তে আমন্ত্রিত হন। সিদ্ধার্থ ঘোষ সম্পর্কে লেখার প্রচুর উপাদান রয়েছে। তাঁর সম্পর্কে বিশদ জানেন এই স্কুলেরই আর এক প্রাক্তনী, রাজ্যের প্রাক্তন শ্রদ্ধেয় আমলা প্রসাদরঞ্জন রায়। 

আমাদের সময় সকলের সামনের রাস্তা ছিল বেলতলা রোড। পরে নাম হয় নরেশ মিত্র সরণি। এখনকার ছাত্ররা জানিনা ওঁর সম্পর্কে কতটা জানে! যদি প্রশ্ন করা হয় চলচ্চিত্রে প্রথম শরৎ ও রবীন্দ্র কাহিনীর রূপকার কে? কে প্রথমে নজরুলকে চলচ্চিত্রে রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিচালনার ভার দেন? তা হলে জবাব হবে নরেশচন্দ্র মিত্র। নির্বাক ও সবাক যুগে বাংলা সাহিত্যকে পর্দায় এনে বাংলা চলচ্চিত্রশিল্পকে সমৃদ্ধ করেছিলেন তিনি। নরেশ মিত্রের বাড়ি যশোর জেলায়, জন্ম আগরতলায় ১৮৮৮ খ্রিস্টাব্দের ১৮ মে। ছাত্রাবস্থায় নাট্যাভিনয়ের সঙ্গে জড়িত হন। তিনি অভিনয় করেন ‘মার্চেন্ট অব ভেনিস’ (শাইলক চরিত্রে), ‘ওথেলো’ (ইয়াগো চরিত্রে), ‘কুরুক্ষেত্র’ (দুর্বাশা) প্রভৃতি নাটকে। ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে তিনি স্নাতক হন, ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দে পাশ করেন আইন। পেশা হিসেবে কী বেছে নেবেন ওকালতি, পাটের ব্যবসা না অভিনয় সে ব্যাপারে ছিলেন অনিশ্চিত।শেষ পর্যন্ত বেছে নেন শেষটাই।
স্কুলের সঙ্গের ছবিটি সত্যজিৎ রায়ের আঁকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *