বাগদায় তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় ছাত্রীকে অপহরণ করে হুমকি, অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি

আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগনা, ১৭ ফেব্রুয়ারি:
তৃণমূল নেতা গ্রেফতার হওয়ার পর আদালতে জবানবন্দি দিয়ে বাড়ি ফিরে টিউশন যাওয়ার পর নিখোঁজ হয়ে যায় নির্যাতিতা ছাত্রী। তারপর গভীর রাতে থানার সামনে থেকেই তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। ছাত্রীর বাবার অভিযোগ তাঁকে অপহরণ করে পঞ্চায়ত সমিতির সভাপতির কাছে নিয়ে যায় এবং কেস তুলে নেওয়ার জন্য তার উপর চাপ দেওয়া হয়।

কু-প্রস্তাব ও মারধরের ঘটনায় বাগদার তরুণী ছাত্রীর অভিযোগের ফলে তৃণমূল নেতা শুভেন্দু মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে তরুণীর ওপর চাপ বাড়তে থাকে। অভিযোগ, উত্তর ২৪ পরগণার বাগদা থানার রণঘাট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ডহরপ্রথা গ্রামে তৃণমূল নেতা শুভেন্দু মণ্ডল ওই ছাত্রীকে দীর্ঘদিন ধরে কু-প্রস্তাব দিচ্ছে। কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ছাত্রীর এডিট করা আপত্তিকর ছবি পোস্ট করে। এমনকি শনিবার সন্ধ্যায় ছাত্রীকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগে শনিবার রাতে তৃণমূল নেতাকে বাগদা থানার পুলিশ গ্রেফতার করে।
তারপর থেকে তৃণমূল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ফোনে হুমকি দেয় কেস তোলার জন্য।

ছাত্রীর বাবা বলেন, রবিবার আদালত থেকে ফিরে ঘরের মধ্যেই বসেছিল। বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ পাশেই এক বাড়িতে টিউশন পড়াতে গিয়ে আর বাড়ি ফেরেনি। আশেপাশে খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারে কয়েকজন যুবকের বাইকে করে বাগদার দিকে যেতে দেখেছে। এরপর বাগদা থানায় নিখোঁজ ডাইরি করে ছাত্রীর বাবা। রাত ২,৫০ নাগাদ থানা থেকে ফোন আসে মেয়ের খোঁজ পেয়েছে। থানায় মেয়ের সঙ্গে কথা হয়। মেয়ে জানায় তাঁকে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপিতি কেস তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিয়েছে। এমনকি কেস তুলে নিলে তাঁকে পঞ্চায়েতে চাকরি দেবে বলে আশ্বাস দিয়েছে।

তৃণমূলের আঞ্চলিক সভাপতি গৌতম মণ্ডল বলেন, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোপা রায়ের নির্দেশে ওই ছাত্রীকে কিছু দুষ্কৃতী অপহরণ করেছিল। অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য তার উপরে চাপ সৃষ্টি করে গোপা রায়। রাতে তাঁকে থানার সামনে ছেড়ে দিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। এমনকি কেস তুলে নিলে গোপাদেবী তাঁকে চাকরি দেওয়ারও আশ্বাস দেয়। যদিও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোপা রায় সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন। রাজনৈতিক ফয়দা তোলার জন্য আঞ্চলিক পঞ্চায়েত সভাপতি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে। এইদিন বিকেলে আমার কাছে ওই ছাত্রী এসেছিল। আমাকে সে জানিয়েছিল রাতে তার বান্ধবীর বাড়িতে থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *