আশিস মণ্ডল, বোলপুর, ১৬ অক্টোবর: পঞ্চাশ লক্ষ টাকা মুক্তিপণের দাবিতে এক যুবককে কিডন্যাপ করা হয় বীরভূমের পাঁড়ুই থানার বড় মহুলারা গ্রামে।
অভিযোগ, ওই গ্রামের রেশন ডিলার আজহারউদ্দিন ওরফে সুরজকে শুক্রবার সন্ধ্যায় পাঁড়ুই বাজারে চা খাওয়ার নাম করে নিয়ে গিয়ে জনা পাঁচেক দুষ্কৃতী একটি চারচাকা গাড়িতে করে কিডন্যাপ করে। পণবন্দি সুরজের ভাই শেখ নাসির উদ্দিন এবং কাকা শেখ কামাল উদ্দিন প্রথমে পাঁড়ুইয়ের অঞ্চল প্রধান সিরাজুল শাহর সাথে যোগাযোগ করেন। তাঁরা জানান, সুরজের দোকানে দুবরাজপুরের কামালপুরের বাসিন্দা আব্দুল তামিজ কাজ করতো। সেই সুরজকে চা খাওয়ানোর নাম করে পাঁড়ুইয়ের ধর্মরাজতলায় যায়। সেখান থেকে একটি বন্ধকি আংটি ছাড়ানোর জন্য সুরজের মটর সাইকেলে করে যায়। কিছুদূর যাওয়ার পর বাথরুমে যাওয়ার নাম করে গাড়ি থামায়। তখনই কালো রঙের চারচাকা গাড়ি থেকে জনা পাঁচেক দুষ্কৃতী সুরজকে গলায় গামছা বেঁধে গাড়ির কাছে টেনে নিয়ে যায়। আব্দুল তাজিম কিল চড় মেরে সুরজকে গাড়িতে তোলে এবং তারপর চার চাকা গাড়িকে পথ দেখিয়ে নিয়ে যায়। কয়েক ঘন্টা পর বাড়ির লোককে ফোন করে ৫০ লক্ষ টাকা দাবি করে। পাশাপাশি পুলিশ থেকে শুরু করে প্রশাসনের কাউকে জানাতে বারণ করা হয়। সুরজের ফোন থেকে হুমকি দিয়ে বলা হয় আর যদি টাকা না দেওয়া হয় সেক্ষেত্রে শেখ আজারুদ্দিনকে মেরে খুন করে ফেলে দেওয়া হবে বলে হুমকিও দেওয়া হয়।
পরিবারের লোকজন কিছু বুঝতে না পেরে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধানের দ্বারস্থ হলে প্রধান পুলিশকে জানায়।টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে পুলিশ কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে দুবরাজপুর থানার অন্তর্গত বালিগুনি জঙ্গল থেকে উদ্ধার করে আনে শেখ আজহার উদ্দিনকে। ঘটনাস্থল থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে মুরতাজ খান নামে এক দুষ্কৃতীকে। যদিও ঘটনার মূল আসামি আব্দুল তাজিম সহ আরো বেশ কিছু দুষ্কৃতিকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। ঘটনাস্থল থেকেই তারা পালিয়ে যায় বলে ধারণা পুলিশের। তাদের খোঁজ চলছে।