আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ১ ডিসেম্বর: বাংলাদেশে ঘটে চলা সাম্প্রতিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে বসবাসকারী সংখ্যালঘু হিন্দুরা আক্রান্ত। প্রতিদিন খবরের শিরোনামে উঠে আসছে বাংলাদেশে ঘটে চলা মর্মান্তিক ঘটনা। এবার সেই বাংলাদেশে বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন বেলঘড়িয়ার যুবক সায়ন ঘোষ।বেলঘড়িয়ার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের দেশপ্রিয় নগর এলাকার সোনার বাংলার বছর বাইশের সায়ন ঘোষ ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশের ঢাকায় বন্ধুর বাড়িতে যায়। ২৬ নভেম্বর ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু ফিরে আসার আগের দিনই তার সঙ্গে ঘটে মর্মান্তিক ঘটনা।
জানা যায়, ঢাকা শহরে বন্ধুর সঙ্গে বাজার করতে গেলে বেশ কয়েকজন মুসলিম সম্প্রদায়ের বাংলাদেশি মানুষ ভারতীয় হিন্দু জেনে সায়নের ওপর হামলা চলায়। তার মোবাইল ফোন, টাকা কেড়ে নেয়। ছুরি, ইট ও পাথর দিয়ে আঘাত করা হয় সায়নের উপর। এরপরই গুরুতর জখম অবস্থায় সায়ন কোনমতে চিকিৎসক দেখিয়ে বন্ধুর বাড়িতে যায়। তারপর তার বন্ধু এবং শায়ন পুলিশের কাছে গেলেও বাংলাদেশের পুলিশ কোনো সাহায্যই তাদের করেনি। এরপর বাংলাদেশের মুসলিমরা তাদের ভয় দেখায় যে, বিষয়টি বেশি জানাজানি হলে বা অভিযোগ দায়ের করলে তাদের প্রাণে মেরে ফেলা হবে। এরপরেই ভয়ে ও আতঙ্কে অনেক কষ্ট করে গেদে সীমান্ত থেকে চেকপোট দিয়ে ভারতে ফিরে আসে। বাড়ি ফিরে আসার পর কেটে গেছে কয়েক ঘন্টা। কিন্তু তার চোখে মুখে এখনো আতঙ্কে ছাপ। চোখের সামনে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অত্যাচার দেখে আতঙ্কে রাতে ঘুম উড়ে গেছে বছর ২২- এর সায়নের। এখন সে আতঙ্কে আছে। সে তো ফিরে এসেছে, কিন্তু তার চিন্তা একটাই, তার বন্ধু ও তার পরিবারের উপর কোনো প্রকার হামলা যাতে হামলা না হয়।
বাড়ি ফেরার পরে বেলঘড়িয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে সায়ন। আগামীকাল অর্থাৎ সোমবার কলকাতায় থাকা বাংলাদেশ হাইকমিশনেও সমস্ত রকম অভিযোগ দায়ের করবে সায়ন এবং তার পরিবার। এছাড়াও ফেরার সময় গেদে সীমান্তে কাস্টমস অফিসেও সমস্ত রকম অভিযোগ দায়ের করেছে সায়ন। বাংলাদেশে গিয়ে এমনই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হয়েছে তার যে সে আর কোনদিন বাংলাদেশে যাবে না।