সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ৩ জুলাই: গত বর্ষায় সেতু ভেঙ্গে যাওয়ার পর তা মেরামত করা হয় ৮৪ লক্ষ টাকা ব্যায়ে, সেই সেতু বছর পার হওয়ার আগেই ভেঙ্গে চুরে একাকার, এমনই অভিযোগ। আজ সেই সেতু পরিদর্শন করে ক্ষুব্ধ বিধায়ক নিলাদ্রী দানা সেতুর এই পরিস্হিতির জন্য “কাটমানি” কে’ই দায়ী করেছেন। সেতু পরিদর্শনে আসেন প্রাক্তন সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডাঃসুভাষ সরকারও।
বাঁকুড়া সদর থানার অন্তর্গত মানকানালী’তে গন্ধেশ্বরী নদীর উপর নির্মিত এই সেতুটি প্রতি বর্ষায় একটু বেশি বৃষ্টি হলেই জলের তলায় চলে যায়। জলের তোড়ে ভেঙ্গে গিয়ে পরিস্থিতি চলাচলের অযোগ্য হয়ে ওঠে। গত কয়েক বছর ধরেই নাকি এরকম ঘটে চলেছে বলে অভিযোগ গ্ৰামবাসীদের। তাদের আরোও অভিযোগ, মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করে সেতু মেরামতি হলেও ভারি বৃষ্টি হলেই ভেঙ্গে যায়।
গত দু’দিনের ভারি বৃষ্টিতে সেতু চলে যায় জলের তলায়, জল সরতেই তার কঙ্কালসার চেহারা বেড়িয়ে এসেছে। আর তা দেখেই এলাকার বাসিন্দারা ক্ষোভে ফুঁসছে।
মানকানালী পঞ্চায়েতের করণজোড়া, রায়দিঘী সহ বেশ কিছু গ্ৰামের যোগাযোগ নির্ভর করে এই সেতু। সেতুর এই দশা শুনেই সাত সকালেই হাজির হন বাঁকুড়া সদর কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক নিলাদ্রি দানা, প্রাক্তন সাংসদ ডাঃ সুভাষ সরকার।
নীলাদ্রী দানা বলেন, গত বর্ষার পর জেলাপরিষদের তত্বাবধানে সেতু মেরামত হয় ৮৪ লক্ষ টাকা ব্যায়ে। কোনও রকম জোড়াতালি দিয়ে কাজ হয়েছে। কাটমানির টাকা ঢুকেছে নেতাদের পকেটে। ফল যা হাওয়ায় হয়েছে। তিনি বলেন, গত পরশু দিনই আমি বিধানসভায় এই সেতু নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে দৃষ্টি আকর্ষন করেছিলাম। তারপর পূর্ত দপ্তরকে সরেজমিনে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়।আমি এই সেতুটির উচ্চতা বেশি করে করার প্রস্তাব দিয়েছিলাম, কিন্তু সরকার কর্ণপাত করেনি।
প্রাক্তন সাংসদ ডাঃ সুভাষ সরকার বলেন, সেতুর পরিস্থিতি ভয়াবহ। জেলাশাসককে ফোন করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্ৰহণের অবেদন করেছি।