আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ৪ ডিসেম্বর: নোয়াপাড়া থানার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হল স্প্রে চোরদের দল। শীতের রাতে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার নোয়াপাড়া থানা এলাকায় বেড়েই চলছিল চুরির ঘটনা। ইছাপুর, নবাবগঞ্জ, গারুলিয়া প্রভৃতি অঞ্চলে বাড়ছিল চুরির ঘটনা। অবশেষে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ৬ জনের সেই চোরদের দলকে পাকড়াও করল নোয়াপাড়া থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এই দুষ্কৃতীরা শীতের রাতে গৃহস্থের বাড়িতে তালা ভেঙে ঢুকে চেতনা নাশক স্প্রে দিয়ে সকলকে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন করে দিত, তারপর অবাধে সেই সব গৃহস্থের বাড়ি থেকে লুট করত সোনা, রুপোর গয়না, দামী মোবাইল প্রভৃতি। শেষ পর্যন্ত এই দুষ্কৃতীদের ইছাপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে নোয়াপাড়া থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম, সুপ্রিয় দাস, সুধীর রাজবংশী, সাগর ছেত্রী, শেখ মহম্মদ আশিক, রাকেশ দাস এবং শঙ্কর মল্লিক। ইছাপুর এলাকার গোপন আস্তানা থেকে এদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছে লুটের অন্তত ২ লক্ষাধিক টাকার সোনা ও রুপোর গয়না, দামী ৪ টি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন এবং একটি মোটর বাইক।
নোয়াপাড়া থানার পুলিশের তদন্তকারী দল প্রায় ৩ মাস ধরে এই দুষ্কৃতীদের খুঁজছিল। গত ২৮ শে নভেম্বর নোয়াপাড়া থানার অন্তর্গত আশুতোষ নগরে এক গৃহস্থের বাড়িতে বড়সড় চুরির ঘটনা ঘটে। জানা যায়, ওই বাড়িতে এই দুষ্কৃতীরা চিলেকোঠা দিয়ে ঢুকে পড়েছিল। পরিবারের সদস্যদের প্রত্যেককে তাদের ঘরে ঘুম পাড়ানি স্প্রে দিয়ে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন করে এই দুষ্কৃতীরা লক্ষাধিক টাকার সোনা ও রুপোর গয়না নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল। ওই গৃহস্থের বাড়ির সদস্যরা নোয়াপাড়া থানায় এসে চুরির ঘটনার স্পষ্ট অভিযোগ জানায়। এরপরই ঘটনার তদন্তে নামে নোয়াপাড়া থানার পুলিশ আধিকারিক পার্থ সারথী মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বিশেষ পুলিশ টিম।
শীতের রাতে পুলিশ কর্মীরা শুরু করে টহলদারি। তাতেই মেলে সাফল্য। পুলিশের হাতে ধরা পড়ল চোরদের গোটা দলটি। তাদের জেরা করতেই তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় চুরির সামগ্রী। পুলিশ সূত্রের খবর, দুষ্কৃতীরা পুলিশের কাছে তাদের অপরাধ কবুল করেছে। তারা পুলিশকে জানিয়েছে, বিভিন্ন বাড়িতে ঢুকে একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। ধৃতদের পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিয়ে একাধিক চুরির ঘটনার কিনারা করতে চাইছে। ইতিমধ্যেই ইছাপুর আশুতোষ নগরের চুরির ঘটনার কিনারা করেছে পুলিশ, উদ্ধার করা হয়েছে আশুতোষ নগরের বাড়িতে চুরির সমস্ত সামগ্রী।