আমাদের ভারত, হুগলী, ৫ মে: প্রায় পঁয়তাল্লিশ দিন আটকে থাকার পর অবশেষে ফিরলেন নিজের রাজ্যে। সরকারের উদ্যোগে রাজস্থানের আজমীঢ় থেকে বিশেষ ট্রেন নিয়ে এল এরাজ্যের প্রায় ১২০০ মানুষকে। তাদের বেশীরভাগই তীর্থ করতে গিয়েছিলেন আজমীঢ় শরীফে। কিছু সংখ্যক মানুষ কাজের তাগিদে ছিলেন রাজস্থানে।
বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসের প্রকোপে লকডাউনের জেরে তারা আটকে পড়েছিলেন ওই রাজ্যে। বহু আবেদন নিবেদন এর পর তাদের ফেরাতে উদ্যোগী হয় রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার। সোমবার রওনা হওয়ার পর মঙ্গলবার তাদের নিয়ে ডানকুনি পৌছয় সেই ট্রেন। প্রায় বারোশো মানুষের মধ্যে হুগলী জেলার তিরিশ থেকে পয়ত্রিশ জন বাদ দিয়ে বাকি সকলে অন্য জেলার বাসিন্দা। সোমবারই এই ট্রেন আনার জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ডানকুনিকে বেছে নেওয়া হয়। সরকারী উদ্যোগে সেখানে সব ব্যবস্থাই করা হয়েছিল।
প্রথমে কথা ছিল ট্রেনটি নিয়ে যাওয়া হবে ডানকুনি লোকোমটিভ কারখানার ভিতরে, পরে তা ডানকুনি স্টেশনেই আনা হয়। আগত মানুষদের দেখভালের জন্য সকালেই সেখানে হাজির হন রাজ্যের দুই মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত ও মলয় ঘটক, সঙ্গে জেলা ও রাজ্য সরকারের আধিকারিকরা। ট্রেন পৌছনোর সঙ্গে সঙ্গেই একে একে ট্রেন থেকে নামতে বলা হয়। এর পর তাদের স্যনিটাইজার স্প্রে করে নিয়ে যাওয়া হয় লোকোমটিভ কারখানার ভিতর।
প্রশাসন সুত্রে খবর সেখানে তাদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর নির্দিষ্ট গন্তব্যে নিয়ে যাওয়া হবে। হুগলী জেলার লোকজনদের আপাতত একটি কোয়ারেনটাইন সেন্টারে রাখা হবে আগামী চৌদ্দ দিন। অন্যান্য জেলার লোকজনদেরও একই ব্যবস্থায় রাখার ব্যবস্থা থাকবে তাদের জেলায়।
বাড়ি ফিরতে পেরে স্বভাবতই খুশী এই সব মানুষরা। একে রমজান মাস তার ওপর এতদিন ভিনরাজ্যে আটকে থেকে তারা স্বাভাবিক ভাবেই ক্লান্ত। বেড়াতে গিয়ে সেই রাজ্যে পরনির্ভরশীল হয়ে ছিলেন বলে তাদের মত। সরকারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলেই।