নেতা মন্ত্রী সহ আমলা ও প্রসাশনের একটা অংশ দুর্নীতিগ্রস্থ, এরাই এখন বাঁচতে বিজেপিতে ভিড়েছে: সুশান্ত ঘোষ

পার্থ খাঁড়া, ঘাটাল, ২১ নভেম্বর:
চারটি করে জাঠা মিছিল করে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় গ্রাম জাগাও, চোর তাড়াও কর্মসূচি পালন করে সিপিএম। ঘাটাল ব্লকে সেই কর্মসূচি শেষে রবিবার বরদা চৌকানে সভা করে সিপিএম। সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন সিপিআইএম পার্টির জেলা সম্পাদক সুশান্ত ঘোষ এবং সাংসদ বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য।

সুশান্ত ঘোষ বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য দুই শাসকদল হলো একে ওপরের পরিপূরক বন্ধু। এই দুই দলই গরিব কৃষক ক্ষেতমজুর সহ শ্রমজীবী মানুষের শত্রু এবং কর্পোরেট ও ফড়েদের দালাল। তিনি বলেন, তৃণমূলের রাজত্বে ওদের নেতা মন্ত্রী সহ আমলা ও প্রসাশনের একটা অংশ দুর্নীতিগ্রস্থ। এরাই এখন বাঁচতে বিজেপিতে ভিড়েছে। বিজেপিতে গিয়ে ধোয়া তুলসীপাতা হওয়া যায় না। সব চোরকে তাড়াতে হবে বাংলা ও দেশ বাঁচাতে।

বক্তব্যে সুশান্ত ঘোষ বলেন, হিটলারেরও হিম্মত হয়নি, আর তার নাতিপুথিদের বলি লালঝান্ডা মুছে দেওয়ার জন্য যারা হুঙ্কার দিয়ে জরিমানার নামে তোলাবাজি করেছে, মিথ্যা মামলা ও সন্ত্রাস নামিয়ে লুঠ, ঘরছাড়া সহ জেল খাটিয়েছে তাদের বলি এবার বাংলার জনগণ তার হিসাব নেবে, তারা প্রস্তুতি নিয়েছে। এতদিন গ্রামে গ্রামে যারা জরিমানার নামে তোলা আদায় করেছিলো, তারা এখন ডেকে ডেকে টাকা ফেরত দিচ্ছে। এমন কৃতকর্মের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চাওয়া শুরু করেছে।
এবার আর সন্ত্রাস নামিয়ে ফাঁকা মাঠে পঞ্চায়েত দখল নয়, সব চোর ও লুঠেরাদের বিরুদ্ধে জনরোষে চোখে চোখ রেখে লড়াই হবে।

সেই কাজে বামপন্থী সহ সিপিআইএম আপোষহীন লড়াই আরো তীব্র করার জন্য পাড়ায় পাড়ায় জন সংযোগ আরোও বাড়াতে হবে বলে কর্মীদের আহ্বান জানান সিপিআইএম এর জেলা সম্পাদক সুশান্ত ঘোষ।

সমাবেশে বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন তৃণমূল না এলে মানুষ জানতে পারত না কাটমানি, তোলাবাজ, লুঠের সিন্ডিকেট বাহিনী এমন কথাগুলি। কখনো দেখেছেন, চোর ডাকাতদের বাঁচাতে মুখ্যমন্ত্রী হয়ে সেই কাজে সামিল হতে? লুঠ আর তোলাবাজের সিন্ডিকেট রাজ বাংলার প্রসাশনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে। সেই সারদা, চিটফান্ড কান্ডের মাধ্যমে গরিব মানুষের কোটি কোটি টাকা লুঠ করে রাজনীতিতে ব্যবহার করেই তৃণমূল তথা মমতা ব্যানার্জি ক্ষমতায় এসেছেন।

বিকাশবাবু বলেন, বিজেপি হলো কর্পোরেট স্বার্থ রক্ষার দালাল ও চোরেদের পাহারাদার। তৃণমূল হলো লুটের সিন্ডিকেট রাজ সহ ফড়েদের দালাল।

সভায় বক্তব্য রাখেন উত্তম মন্ডল ও সভাপতিত্ব করেন অশোক সাঁতরা। অশোক সাঁতরা বলেন, বন্যা নিয়ন্ত্রণে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান অনুমোদিত হলেও আজ ১২ বছর কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার এক টাকাও বরাদ্দ করেনি। দুই শাসক দলের চাপান উতর চলে মানুষকে বিভ্রান্ত করে বিভাজনের রাজনীতি কায়েম রাখতে। ঘাটাল মাস্টার প্লেন নিয়ে দুই সরকার শ্বেতপত্র প্রকাশ করুক এবং মানুষকে সঠিক তথ্য দেওয়ার মুরোদ দেখাক। ঘাটাল মাস্টার প্লেন কার্যকর হলেও এই মহকুমা সহ হাওড়া হুগলি এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বহু এলাকায় আবাদ জমি তিন ফসলা হয়ে উঠবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *