পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ জুন: বর্ষা এখনও প্রবেশ করেননি দক্ষিণবঙ্গে। দু’একদিনের মধ্যেই হয়তো খাতায়-কলমে প্রবেশ করবে। তবে, তার প্রবেশের আগেই শুক্রবার মেদিনীপুরে অবস্থিত জেলাশাসকের কার্যালয়ে জেলা কৃষি দফতরের একটি রিভিউ মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। জেলাশাসক খুরশিদ আলী কাদেরী-র নেতৃত্বে কৃষি দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে এই রিভিউ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে বিগত বছরের নানা প্রকল্প ও ব্যয়-বরাদ্দ নিয়ে যেমন আলোচনা হয়, ঠিক তেমনই চলতি আর্থিক বছরের বিভিন্ন প্রকল্পে বরাদ্দ এবং কৃষকদের শস্য বীমাতে নাম নথিভুক্তকরণের বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠক শেষে শুক্রবার বিকেলে জেলাশাসকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কৃষি ক্ষেত্রে গত দুই বছরে মোট ২৬১টি প্রকল্পে ৯৭.৪৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। চলতি বছরে ১০৬টি প্রকল্পের জন্য অর্থ মঞ্জুর করা হবে। এছাড়াও, একাধিক গুদাম ঘর, কোল্ড স্টোরেজ তৈরীর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশেষত জেলায় মাল্টি পারপাস কোল্ড স্টোরেজ (সমস্ত ধরনের ফসলের জন্য) বাড়ানোর উপর জোর দেওয়া হচ্ছে বলে এদিন জানিয়েছেন জেলাশাসক।
বাংলার শস্য বীমা প্রকল্পে রবি শস্যের ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মোট ৫ কোটি ২ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়েছে। খরিফ শস্যে কৃষকদের নাম নথিভুক্তকরণের কাজ চলছে বলেও এদিনের বৈঠকে জেলাশাসককে অবগত করেন কৃষি দফতরের আধিকারিকরা। সর্বোপরি, ‘কৃষক বন্ধু’ প্রকল্পে খরিফ ফসল (মূলত ধান) রোপন করার আগেই জেলার ১০ লক্ষ ১৯ হাজার কৃষকের অ্যাকাউন্টে সরাসরি (DBT) রাজ্য সরকারের অনুদান বা, আর্থিক সহায়তা পৌঁছে যাবে বলে এদিন বিকেলে জানিয়েছেন জেলাশাসক খুরশিদ আলী কাদেরী।