রাজেন রায়, কলকাতা, ২৫ নভেম্বর: আগে সিবিআইয়ের অতি সক্রিয়তা নিয়ে মামলা দায়ের হত কলকাতা হাইকোর্টে। কিন্তু মঙ্গলবার নারদ কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের ঢিলেমি নিয়ে এবার নতুন করে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। বুধবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে হাইকোর্টে।
মামলাকারীর আইনজীবী জানান, নারদ কান্ডের তদন্তকে অকারণে দীর্ঘায়িত করা হচ্ছে। দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হয়ে যাবার পরেও আদালতে পেশ হয়নি ফাইনাল চার্জশিট। যেখানে রাজ্যের মন্ত্রী বিধায়ক সাংসদের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ উঠেছে, সেখানে সাড়ে তিন বছরের সিবিআই তদন্ত দিকভ্রান্ত, গতিহীন। এমনকি যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, তারাও জামিনে মুক্ত হয়ে গিয়েছেন। ফলে এত গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্ত গুরুত্ব হারিয়েছে।
গত লোকসভা ভোটের সময় নারদ কান্ডে ফাইনাল চার্জশিট পেশ করা হবে বলে দাবি করেছিল বিজেপি। কিন্তু লোকসভার ভোট পেরিয়ে বিধানসভা ভোট চলে আসার পরেও এখনো তা পেশ করা হয়নি। ‘স্পিকারের’ অনুমতির নাম করে সময় নষ্ট করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলেন মামলাকারীর আইনজীবী। হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত চালাচ্ছে এখানে স্পিকারের কোনও অনুমতি প্রয়োজন নেই।
প্রসঙ্গত, নারদ কাণ্ডে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে সাম্প্রতি তিন তৃণমূল নেতাকে নোটিশ ধরিয়েছে ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট)। তাদের আয়–ব্যয়ের তথ্য চেয়ে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, হাওড়ার তৃণমূল সাংসদ প্রসূন ব্যানার্জি এবং প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা মদন মিত্রকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে। কিন্তু গত কয়েক বছরে এই কাণ্ডে যুক্ত বারবারই তৃণমূল এবং বিজেপি নেতাদের নোটিশ পাঠানো হয়েছে, সম্পত্তির হিসাব নেওয়া হয়েছে এবং জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তার পরেও এভাবে দীর্ঘায়িত করা সময় নষ্টের শামিল বলে দাবি করেন আইনজীবী।