আমাদের ভারত, ১১ ফেব্রুয়ারি: বিজেপির রাজ্য সভায় প্রার্থী হচ্ছেন দলের অন্যতম পোড় খাওয়া নেতা শমীক ভট্টাচার্য। দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে রাজ্যসভার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয় রবিবার। সেখানে পশ্চিমবঙ্গ থেকে শমীক ভট্টাচার্যের নাম রয়েছে। সাত রাজ্য থেকে বিজেপি রাজ্যসভার প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়।
পোড় খাওয়া তাত্ত্বিক নেতা তথা বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র হিসেবে অত্যন্ত চেনা মুখ শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বরাবরই ভালো বক্তা, পরিশীলিত ভাষায় বিরোধীদের সমালোচনা করতে তিনি সুদক্ষ। তাঁর বাক্য বাণে বরাবর সিপিএম তৃণমূলকে তিনি বিদ্ধ করেছেন।
২ এপ্রিল এই রাজ্য থেকে মনোনীত পাঁচ সাংসদের ৬ বছরের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোট হবে। সেখানে ইতিমধ্যেই তৃণমূলের চার প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে ফেলেছে। বিজেপি সেখানে একজন প্রার্থী দিতে পারবে, আর সেখানেই শমীক ভট্টাচার্যের নাম ঘোষণা করা হলো বিজেপির তরফে। ৫৬টি রাজ্যসভার আসন ফাঁকা হচ্ছে, সর্বত্রই ২৭ তারিখে ভোট।
নাম ঘোষণার পরে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “দলের কাছে কৃতজ্ঞ। সংগঠনের কাছে কৃতজ্ঞ। সর্বোপরি বাংলার মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ। আমাদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আমাকে রাজ্যসভায় পাঠানোর জন্য মনোনীত করেছে। একই সঙ্গে মনে রাখতে হবে বাংলার মানুষ আমাদের সেই সংখ্যা দিয়েছে, যাতে আমরা পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজ্যসভায় একজন সদস্য পাঠাতে পারি।
প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর কিছুটা নস্টালজিক হয়ে পড়েন শমীক ভট্টাচার্য। এর আগে অনন্ত মহারাজকে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছে বিজেপি। তবে তিনি যে বিজেপির সংগঠক তা বলা যায় না। কিন্তু শমীক ভট্টাচার্য বিজেপির পুরনো সৈনিক। সময়ের হাত ধরে বহু নতুন মুখ উঠে এলেও, যে সময় রাজ্যে বিজেপির রমরমা ছিল না সেই সময় শমীক ভট্টাচার্য রাহুল সিনহারা সংগঠন তৈরির চেষ্টা চালিয়ে গেছেন।
শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “সেইসব পুরনো দিনের কথা আমার খুব বেশি করে মনে পড়ছে, যখন আমি, রাহুল দা পার্টি অফিসে বসে থাকতাম। ৮-এর দশক তখন। বুদ্ধবাবু বলতেন, যাদের বিধানসভায় কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই আমরা তাদের সর্বদলীয় বৈঠকে ডাকি না। সেদিনের সেইসব কথা খুব মনে পড়ছে। অনেকে হয়তো আমাদের মধ্যে নেই, তারা থাকলে খুশি হতেন, যে কলকাতা থেকে রাজ্যসভায় আমাদের শক্তিতে প্রতিনিধিত্ব করতে পারবে, সেটাই বারবার মনে হচ্ছে।”
একাধিক সংবাদ মাধ্যমের বিতর্ক সভাতেও তিনি পরিচিত মুখ। যুক্তি দিয়ে বক্তব্য রাখেন শমীক ভট্টাচার্য। আজ সেই শমীক ভট্টাচার্য রাজ্যসভার টিকিট পেলেন। বিজেপির তরফে নিজের দলের মুখপাত্রকে রাজ্যসভার টিকিট দেওয়া হলেও কুনাল ঘোষ এক্ষেত্রে তৃণমূলের রাজসভার প্রার্থী তালিকায় ব্রাত্য থেকে গেলেন।