আমাদের ভারত, কলকাতা, ২৭ জানুয়ারি: স্বাস্থ্য কর্মীদের সামান্য ভুলে অনেক রোগীর প্রাণ সংশয় হতে পারে। এর মোকাবিলা করতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় কর্মীদের সচেতন করতে এগিয়ে এসেছে ‘কাহো’। আগামী এপ্রিল মাসে অষ্টম আন্তর্জাতিক সম্মেলন CAHOCON 2024- এর প্রাক্কালে এই সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল হোটেল হিন্দুস্থান ইন্টারন্যাশনালে।
‘কাহো’ শব্দটা অচেনা হলেও এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মূল লক্ষ্য সুচিকিৎসার পরিকাঠামোর ওপর জোর দেওয়া। ২০০৮ সালে ডা: নগেন্দ্র স্বামী এস সি-র উদ্যোগে কনসোরটিয়াম অফ অ্যাক্রিডিটেড হেলথকেয়ার অরগানাইজেশন অর্থাৎ কাহো-র পথচলা শুরু হয়। সঙ্গে ছিলেন সংস্থার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডা: বিজয় আগরওয়াল, ভাইস প্রেসিডেন্ট ডা: সমীর মেহতা, সেক্রেটারি জেনারেল ডা: লাল্লু জোসেফ, ডা: সুনীল কুমার সাজ্ঞার, প্রেম কুমার নায়ার সহ অজস্র স্বনামধন্য চিকিৎসক।
কাহো–র মূল লক্ষ্য রোগীদের নিরাপদ চিকিৎসার ওপর গুরুত্ব দেওয়া। একই সঙ্গে হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক, নার্স সহ সমস্ত স্বাস্থ্য কর্মীদের সঠিক প্রশিক্ষণ দেওয়া। মাঝে মাঝেই বিভিন্ন হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রোগীদের মৃত্যু মুখে পড়তে হয়। অগ্নি-সুরক্ষার ব্যাপারে হাসপাতালের প্রত্যেক কর্মীকে সচেতন করার ব্যাপারেও কাহো উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছে।
বিভিন্ন রাজ্যের সঙ্গে সঙ্গে পূর্ব ভারতেও কাহো বিভিন্ন অ্যাক্রেডিটেড, বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের রোগ নির্ণয়ের পদ্ধতি ও শ্রেষ্ঠ চিকিৎসার ব্যাপারে যৌথ উদ্যোগে কাজ করছে বলে জানালেন পূর্ব ভারতের চেয়ারম্যান ডা: শঙ্কর সেনগুপ্ত। অসুস্থ মানুষদের সারিয়ে তুলতে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা করা হয়। কিন্তু চিকিৎসক ও চিকিৎসা সহায়ক কর্মীদের অবহেলা নিয়ে প্রায়শই প্রশ্ন ওঠে। হাসপাতালে ভর্তি প্রসূতি ও সদ্যোজাত শিশুদের মৃত্যুহার খুব বেশি।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানাইজেশনের হিসেবে বিশ্বে প্রতিদিন ৬৭০০ জন সদ্যোজাত ও ৮১০ জন প্রসূতির মৃত্যু হয়। ডাঃ শঙ্কর সেনগুপ্ত জানালেন যে, চিকিৎসা সহায়ক কর্মীদের একটু সতর্কতায় মৃত্যুর হার অনেকটাই কমে যেতে পারে। সমস্যা যে শুধু আমাদের দেশের তা নয়। বিশ্বের উন্নত দেশগুলিতেও এই সমস্যা রয়েছে।
এদিন উপস্থিত ছিলেন ডা: বিজয় আগরওয়াল, ডা: লাল্লু জোসেফ, ডা: শঙ্কর সেনগুপ্ত এবং রূপক বড়ুয়া।