সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ২৯ ডিসেম্বর: বাড়ি তৈরি করার জন্য চলছিল মাটি কাটার কাজ। আর সেই কাজ করতে গিয়ে মাটি ধসে সেই মাটির নিচে চাপা পড়ে মৃত্যু হলো এক শ্রমিকের। রবিবার সকালে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ থানার প্রতাপগড় এলাকায়। ঘটনার পর এলাকায় তদন্তে যায় বনগাঁ থানার পুলিশ।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, বনগাঁ হাসপাতালের ২ নম্বর গেটের উল্টোদিকে চাকদা–বনগাঁ সড়কের ধারের একটি জমিতে বড় মাপের একটি ভবন তৈরির প্রস্তুতি চলছে। আর তারজন্য বর্তমানে মাটি কাটার কাজ চলছিল। সেই কাজেই যুক্ত ছিলেন বনগাঁ থানার ঢোড়ামারি গ্রামের যুবক সুজয় মন্ডল (১৮)। এই কাজে সুজয়ের বাবা–মা’ও শ্রমিক হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন।
এদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এই কাজে যুক্ত আর এক শ্রমিক সুব্রত বিশ্বাস জানান, এদিন সকাল ১০টা নাগাদ কোদাল দিয়ে মাটি কাটার সময় উপরের দিকের মাটি হঠাৎ করে ধসে যায়। আর তার নিচে চাপা পড়ে যায় সুজয়। মাটি সরিয়ে তাকে উদ্ধার করে বনগাঁ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
উত্তম সরকার নামে এক প্রতিবেশীর অভিযোগ, ‘মিন্টু দত্ত নামে এক ব্যক্তি অবৈধভাবে বেশি জায়গা দখল করে মাটি কাটাচ্ছিলেন। আমরা আগে থেকেই মাটি ধসে যাওয়ার আশঙ্কা করেছিলাম। পুরসভায় এব্যাপারে অভিযোগও করেছিলাম। শেষপর্যন্ত সেই আশঙ্কাই সত্যি হলো।’