সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ৭ মে: মাধ্যমিকের পর উচ্চ মাধ্যমিকেও বাজিমাত বাঁকুড়ার পড়ুয়াদের। উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফলেও যেন মাধ্যমিকের প্রতিচ্ছবি। মাধ্যমিকের মতোই উচ্চমাধ্যমিকে মেধা তালিকায় সম্ভাব্য পাঁচ পড়ুয়া। আবার মাধ্যমিকের মতোই উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্য মেধা তালিকায় চতুর্থ ও মহিলা পরীক্ষার্থীদের প্রথম স্থান অধিকার করেছে বাঁকুড়ার ছাত্রী।
বিষ্ণুপুর মহকুমার সোনামুখী গার্লস হাই স্কুলের সৃজিতা ঘোষাল রাজ্যে মেয়েদের মধ্যে প্রথম ও মেধা তালিকায় চতুর্থ। সে ৪৯৪ নাম্বার পেয়েছে। এছাড়া উচ্চ মাধ্যমিকের রাজ্য মেধা তালিকায় ৬ষ্ঠ স্থান দখল করেছে বাঁকুড়া বঙ্গ বিদ্যালয়ের ছাত্র ও রামপুর মিশ্রপাড়ার বাসিন্দা অয়ন কুন্ডু। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯২। এই স্কুল থেকেই হীড়বাঁধের বাসিন্দা দেবজিৎ রায় মেধা তালিকায় ৮ম স্থানে রয়েছে। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯০। এই নম্বর পেয়ে মেধা তালিকার অষ্টম স্থানে রয়েছে বাঁকুড়া জেলা স্কুলের রিতম মান্না। এই মেধা তালিকার সপ্তম স্থান দখল করেছে জেলার আর এক মহিলা পরীক্ষার্থী। ভেদুয়াশোল হাই স্কুলের ছাত্রী ইন্দপুরের বৃন্দাবনপুর গ্রামের বাসিন্দা শিল্পা গোস্বামী ৪৯১ নম্বর পেয়ে সপ্তম হয়েছে। জেলায় ৫ ছাত্র- ছাত্রী মেধা তালিকার প্রথম ১০-এ থাকায় ফের প্রমাণ হলো এগিয়ে বাঁকুড়া।
ছবি: অয়ন কুন্ডু
উল্লেখ্য, এবার মাধ্যমিকের ফলাফলেও রাজ্য স্তরে মহিলা পরীক্ষার্থীদের মধ্যে প্রথম হয়েছে বিষ্ণুপুর মহকুমার কোতুলপুর সরোজবাসিনী বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী ঈশান চক্রবর্তী। সে রাজ্য মেধা তালিকার তৃতীয় স্থান দখল করেছে। সে দিক থেকে এবার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে বিষ্ণুপুর মহকুমার সাফল্য অবাক করার মত।এবার মাধ্যমিকে ইন্দপুরের দেবাদৃতা চক্রবর্তী রাজ্যের মেধা তালিকায় সপ্তম স্থান অধিকার করেছে। সে বাঁকুড়া মিশন গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী। ইন্দপুর ব্লকের নতুনডিহী গ্রামের বাসিন্দা। বাঁকুড়ার সার্কাস ময়দানে ভাড়া বাড়িতে থাকে সে। উচ্চ মাধ্যমিকের ৭ম স্থানাধিকারী শিল্পা গোস্বামীর বাড়িও ইন্দপুরে। সেদিক থেকে এবারের উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফলে মাধ্যমিকের প্রতিচ্ছবি দেখা যাচ্ছে। সৃজিতা ঘোষাল ৯৮.৮% নম্বর পেয়েছে। তার বাড়ি সোনামুখীর রথ তলায়। সৃজিতার বাবা ভক্ত দাস ঘোষাল সোনামুখী ব্লকের কোচডিহি কবি সুকান্ত বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক। মা সুচিতা ঘোষাল গৃহবধূ।সৃজিতার স্বপ্ন ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়ার। সৃজিতাদের গ্রামের বাড়ি ওন্দা ব্লকের গামিদ্যায়।
সৃজিতার বাবা জানান মেয়ে ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় অত্যন্ত মনোযোগী। সে মাধ্যমিকের সময় ৯৭% নম্বর পেয়েছিল এবং সোনামুখী ব্লকের মধ্যে প্রথমস্থান অর্জন করেছিল। ভক্তবাবু জানান, তাদের একমাত্র মেয়ে সৃজিতা পড়াশোনার পাশাপাশি ছবি আঁকতে ভালোবাসে।