সায়ন ঘোষ, আমাদের ভারত, বনগাঁ, ৩ ডিসেম্বর:
গৃহবধূকে বিষ খাইয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল শ্বশুর বাড়ির লোকজনদের বিরুদ্ধে। এই ঘাটনায় স্বামী, শ্বশুর ও তিন ননদকে গ্রেফতার করে গাইঘাটা থানার পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণার গাইঘাটা থানার গাজনা এলাকায়। মৃত গৃহবধূর নাম প্রিয়াঙ্কা মণ্ডল (২২)। মৃত প্রিয়াঙ্কার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্তে নেমে সোমবার রাতে তাদের গ্রেফতার করে। ধৃতদের মঙ্গলবার বনগাঁ আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, গাইঘাটার গাজনা এলাকার বাসিন্দা শৈবাল মণ্ডলের সঙ্গে চাঁদপাড়ার প্রিয়াঙ্কার বছর দুই আগে বিয়ে হয়। বিয়ের প্রথম বছরটা ঠিকঠাক থাকলেও গত এক বছর ধরে বাড়তি পণের টাকার জন্য প্রিয়াঙ্কাকে চাপ দিত। দাবি মতো সেই পণ না পাওয়ার ফলে প্রিয়াঙ্কাকে জোর করে গলায় বিষ ঢেলে দিয়ে খুন করা হয়েছে বলে তরুণীর পরিবারের লোকজনের দাবি। তরুণীর মায়ের অভিযোগ, বিয়ের সময় নগদ টাকা সহ সোনার গহনা আসবাবপত্র দেওয়া হয়েছিল। এতো কিছু দেওয়ার পরেও মন ভরেনি পাত্রপক্ষের। গত এক বছর ধরে দুদফায় টাকা দেওয়া হয় শৈবালকে। ফের ২০ হাজার টাকার দাবি জানায় সে। এই টাকা দিতে অস্বীকার করলে মেয়েকে মারধর করে শ্বশুর সহ তিন ননদ। রবিবার অশান্তি চরমে ওঠে। এদিন রাতে স্বামী, শ্বশুর সহ তিন ননদ মারধর করে প্রিয়াঙ্কাকে জোর করে ধরে মুখের মধ্যে বিষ ঢেলে দেয় বলে অভিযোগ। এরপর কয়েক ঘণ্টা ঘর বন্দি করে রাখে প্রিয়াঙ্কাকে। পরে চিৎকার করে প্রতিবেশীদের ডেকে তাকে বনগাঁ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এই ঘটনায় তরুণীর মা তার, স্বামী শৈবার মণ্ডল, শ্বশুর আনন্দ মণ্ডল, ও তিন ননদ অপর্ণা মণ্ডল, আল্পনা মাণ্ডল ও সুপর্ণা মণ্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলে গাইঘাটা থানার পুলিশ তদন্তে নেমে এই পাঁচজনকে গ্রেফতার করে।