১বার মিলনে ৪০ ফসল ঢোকে শরীরে

আমাদের ভারত, ২০ নভেম্বর: যখন আপনার মন প্রশান্ত তখন যেটা আপনি ভাবেন তা হল সুস্থ শরীর এবং শরীরের সুন্দর একটা গঠন। ভালো (তৃপ্তি যুক্ত) যৌন মিলন থেকে আপনি অবশ্যই এসব পেতে পারেন। যৌন মিলন নানাভাবে আপনার শরীরের জন্য উপকারী। তার উল্লেখযোগ্য কিছু দিক জানানো হল:

শারীরিক মিলনের দুশ্চিন্তা রোধ করে। যৌন মিলনের একটি বড় সুবিধা হল এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং মোটের উপর দুশ্চিন্তা রোধে সহায়তা করে। স্কটল্যান্ড থেকে প্রকাশিত বায়োলজিক্যাল ফিজিওলজি জার্নালে প্রকাশিত এক সমীক্ষায় এ তথ্য পাওয়া যায়। সমীক্ষায় ২৪ জন নারী এবং ২২ জন পুরুষের যৌন কর্মকান্ড রয়েছে। সমীক্ষা চলাকালীন তাদের স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি ঝামেলা যুক্ত কাজ দেওয়া হয় (যেমন সামনের ডেস্কে বসে কাজ করা ইত্যাদি)। এ অবস্থায় দেখা যায় শাররীক মিলনের সময় অন্যদের তুলনায় তাঁরা কম দুশ্চিন্তা বা ঝামেলায় উদ্ভিগ্ন হন।

একই জার্নলে প্রকাশিত অন্য একটি প্রবন্ধে জানা যায় নিম্ন রক্তচাপ অনেক ক্ষেত্রে নিয়মিত যৌন মিলনের সাথে সম্পৃক্ত। ডাক্তাররা আলিঙ্গনের সাথে নারীর নিম্ন রক্তচাপের একটা সম্পর্ক পেয়েছেন।

নিয়মিত যৌন মিলনে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ভালো যৌন স্বাস্থ্য মানে উন্নত শারীরিক স্বাস্থ্য এবং সুস্থতা। সপ্তাহে একবার কিংবা দুইবার শারীরিক মিলনে ইম্যুওনোগ্লোবুলিন-এ (সংক্ষেপে IgA) নামক এন্টিবডি’র স্তর বৃদ্ধি করে, যা আপনাকে ঠান্ডা লাগা/নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে সক্ষম।

যৌন মিলনে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা কমে। একটা নয়, একাধিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে নিয়মিত শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হলে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের আশঙ্কা চোখে পড়ার মতো হ্রাস পায়। কুইউ ইউনিভার্সিটির প্রকাশিত একটি গবেষণা পত্র অনুসারে, যারা সপ্তাহে কম করে ৩ বার সেক্স করেন, তাদের হার্টের স্বাস্থ্যের দারুন উন্নতি ঘটে। সেই সঙ্গে মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ বেড়ে যাওয়ার কারণে স্ট্রোকের আশঙ্কাও হ্রাস পায়। 

শারীরিক মিলনে অতিরিক্ত ক্যালরি কমে। তিরিশ (৩০) মিনিটের শারীরিক মিলন ৮৫ ক্যালরি কিংবা তারও বেশি দহন করতে পারে। দেখা গেছে ২১ ঘন্টার মিলনে এক পাউন্ড ওজন কমানো সম্ভব।

যৌন মিলন একটি ভালো ব্যয়াম। এর সাহায্যে শারীরিক এবং শরীরবৃত্তীয় উভয়-ই সংঘটিত হয়।

শারীরিক মিলনে হৃদপিন্ডের স্বাস্থ্য ভাল রাখে অনেক বয়স্ক পুরুষ মনে করেন যৌনমিলন করলে ষ্ট্রোক হবার সম্ভাবনা থাকে। এটি সবসময় সত্য নয়। জার্নাল অব ইপিডিমিউলোজি এন্ড কমিউনিটি হেল্থ এ প্রকাশিত এক গবেষণা পত্রে বলা হয় ৯১৪ জন মানুষকে ২০ বছর ধরে পর্যবেক্ষন করে যৌন মিলনের সাথে ষ্ট্রোক এর কোনও সম্পর্ক পাওয়া যায়নি। যৌনমিলনে হৃদপিন্ডের ভালো দিকগুলোর এখানেই সমাপ্তি নয়। গবেষনায় আরো জানা যায়, সপ্তাহে কমপক্ষে দুইবার অথবা ততোধিক শাররীক মিলনের ফলে প্রাণনাশক হার্ট এ্যাটাকের সম্ভাবনা বা মাত্রা প্রায় অর্ধেকে নামিয়ে আনে।
যারা নিয়মিত যৌন মিলন করেন তাদের শরীরের বয়স কমে যায়। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণা অনুসারে নিয়মিত শারীরিক মিলনে লিপ্ত হলে শরীরের বয়স ৫-৭ বছর কমে যায়। সেই সঙ্গে ত্বক উজ্জ্বল এবং প্রণবন্তও হয়ে ওঠে।

এখানেই থেমে না থেকে প্রায় ১০ বছর ধরে চলা এই গবষণার প্রধান পৃষ্ঠপোষক ডাঃ ডেভিড উইক জানিয়েছেন, রোবটের মতো শুধুমাত্র শারীরিক মিলন করলেই যে সুফল মিলবে এমন নয়। এই বিশেষ সময়ে স্বামী-স্ত্রীকে সবকিছু উজার করে দিতে হবে। উপভোগ করতে হবে প্রতিটি সেকেন্ড। তবেই ধীরে ধীরে সুফল মিলতে শুরু করবে।

নিয়মিত যৌন মিলনে আন্তরিকতা বৃদ্ধি হয় যৌনমিলন করা এবং যৌনমিলনে পুর্নতৃপ্তি অর্জনে মানবদেহের অক্সিটসিন (oxytocin) হরমোনের স্তর বৃদ্ধি করে। অক্সিটসিন হরমোনকে লাভ-হরমোনও বলা হয়ে থাকে। অক্সিটসিন হরমোন স্বামী-স্ত্রী পরষ্পরের প্রতি বিশ্বাস এবং ভালবাসা শক্তিশালী করে।

ইউনিভার্সিটি অব পিটার্সবার্গ এবং ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ক্যারলিনা’র এক যৌথ গবেষনায় ৫৯ জন ঋতুচক্র সক্রিয় আছে এমন নারীর তাদের স্বামীর সাথে উষ্ণ আলিঙ্গনের পুর্বে এবং পরের অবস্থা মুল্যায়ন করেন। ফলাফলে তারা পান, “যত বেশি সংষ্পর্শ – তত বেশি অক্সিটসিন হরমোনের স্তর বৃদ্ধি।” অক্সিটসিন প্রকৃতিকে সনির্বন্ধ অনুরোধ করে আরো বেশি আন্তরিক বন্ধনের জন্য। উচ্চ মাত্রার অক্সিটসিনের সাথে সঙ্গীর প্রতি “উদার” অনুভুত হবার সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। তাই যদি মাঝে মাঝে আপনি আপনার সঙ্গীর প্রতি উদার মনোভাবের অনুভতি অনুভব করেন তবে তার কৃতিত্ব কিন্তু এই অক্সিটসিন তথা লাভ-হরমোন এর।

যৌন মিলনে আত্মসম্মানবোধের উন্নতি করে। যৌনমিলনের ২৩৭ টি কারনের মধ্যে আত্মসম্মানবোধের উন্নয়নও মিলনের একটি উল্ল‌্যেখযোগ্য কারন। ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসের গবেষক দলের উদ্ভাবিত “আর্কাইভ অব সেক্সুয়াল বিহেভিয়্যর” জার্নালে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়।

জিনা অগডোন (পিএইচডি) নামের ক্যামব্রিজের একজন সেক্স থেরাপিষ্ট বলেন, যেসব মানুষের আত্মসম্মানবোধ অন্যের তুলনায় ভাল – তারাও অনেকসময় আরো বেশি মানসিক প্রশান্তির প্রত্যাশায় মিলন করে থাকেন। তার মতে ভালো মানের যৌনমিলনের শুরুই হয় আত্মসম্মানবোধের দৃঢ়তার ভিত্তিতে এবং এটার ক্রমঃউন্নয়ন হয় – যদি শাররীক মিলনের সাথে ভালবাসার সংযুক্তি থাকে। তিনি আরোও বলেন – অনেক মানুষ তার সাথে আলোচনায় উল্ল্যেখ করেন যে নিজের সম্পর্কে পজেটিভ ধারনা জাগানোর লক্ষ্যে তারা অনেক সময় যৌনমিলন করে থাকেন।

শারীরিক মিলন বা যৌন মিলনে মনের জোর বাড়বে। সম্প্রতি ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস এর প্রকাশ করা একটি সমীক্ষা অনুসারে, যেসব স্বামী-স্ত্রী ঘন ঘন শারীরিক মিলন করেন তাদের মনের জোর বাকিদের তুলনায় অনেক বেড়ে যায়। ফলে কর্মক্ষেত্রে সফলতা পাওয়ার সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পায়।

যৌন মিলনে ব্যথা নিরাময় করে। অন্তরঙ্গতার ফলে যখন অক্সিটসিন (oxytocin) হরমোন প্রচন্ড তরাঙ্গায়ীত হয় তখন ইনড্রোপিন হরমোনের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। ইনড্রোপিন কার্যকরী ব্যথানাশক – ফলে প্রাকৃতিক ভাবেই যন্ত্রনা হ্রাস পায়। তাই যদি আপনার মাথাব্যথা, গেটে বাতের ব্যথা সহ অন্য শাররীক ব্যথা থাকে তাহলে যৌনমিলনের পর ইনড্রোপিন তা কমিয়ে আনবে।

বুলেটিন অব এ্যক্সপেরিমন্টাল বায়োলজি এন্ড মেডিসিন এ মুদ্রিত এক আটির্কেলে উল্ল্যেখ করা হয় ৪৮ জন সেচ্ছাসেবককে শ্বাসের মাধ্যমে অক্সিটসিনের বাষ্পীয় রূপ সেবন করানো হয় এবং তাদের হাতের আঙুল মচকে দেওয়া হয়। অক্সিটসিন ক্রিয়াশীল অবস্থায় তাদের ব্যথার অনুভুতি প্রায় অর্ধেক পাওয়া গিয়েছে।

যৌন মিলন একটি ভালো ব্যায়াম স্বামী-স্ত্রীর সহবাসে বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঞ্চালিত হয়। তার ফলে যৌন মিলন একপ্রকার ব্যায়ামের কাজ করে। পাশাপাশি শারীরিক মিলনের ফলে শরীর থেকে প্রচুর ক্যালোরি খরচ হয়, ফলে কোলেস্টেরলের মাত্রা কম হয়, রক্তপ্রবাহ ভালো হয় বলে গবেষকরা জানিয়েছেন। গবেষকরা জানিয়েছে, এক সপ্তাহ নিয়মিত হাঁটা-চলা করলে যে পরিমান ক্যালোরি খরচ হয়, সপ্তাহে তিন দিন নিয়মিতভাবে শারীরিক মিলনে লিপ্ত হলে আপনার সেই পরিমান ক্যালোরি খরচ হবে।

যৌন মিলনে মুত্রাশয় এবং মুত্রনালীর ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। নিয়মিত বীর্যপাত, বিশেষ করে ২০ উর্দ্ধ বয়সের পুরুষের ক্ষেত্রে পরবর্তীতে (বয়স্ক অবস্খায়) মুত্রাশয় এবং মুত্রনালীর ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। অষ্ট্রেলিয়ার গবেষকদলের মতে (ব্রিটিশ জার্নাল অব ইউরোলোজি ইন্টারন্যাশনালে মুদ্রিত) যখন তারা প্রোষ্টেট ক্যান্সার রোগী এবং সাধারন (রোগমুক্ত) পুরুষের রোগ নির্নয়ের পরীক্ষা করেন, তখন তাঁরা মুত্রাশয় এবং মুত্রনালীর ক্যান্সারের সাথে ৩০, ৪০ এবং ৫০ বছর বয়সে শারীরিক মিলনের হারের বড় একটি সম্পর্ক আবিষ্কার করেন। যেসব পুরুষ ২০ ঊর্দ্ধ বয়সে সপ্তাহে অন্তত পাঁঁচ বার বীর্যপাত ঘটিয়েছেন তাদের মুত্রাশয় এবং মুত্রনালীর ক্যান্সারের ঝুঁকি ৩৩% কম। অর্থাৎ কম শারীরিক মিলন মানে বেশি মুত্রাশয় এবং মুত্রনালীর ক্যান্সারের ঝুঁকি। অন্য একটি গবেষণায় ডাক্তাররা বলেন, মাসে ২১ বার কিংবা ততোদিক যৌনমিলনের ফলে বৃদ্ধ বয়সে মুত্রাশয় এবং মুত্রনালীর ক্যান্সারের সম্ভাবনা ২১ বারের কম এমনকি চার থেকে সাত বার মিলনকারীদের চেয়ে ৩৩% ভাগ কম।

পুরুষদের শারীরিক আকর্ষণ বৃদ্ধি পায়। সপ্তাহে ২-৩ বার নিয়মিত সেক্স করলে পুরুষদের শরীরে ফেরোমনস সহ বিশেষ কিছু কেমিকেলের ক্ষরণ বেড়ে যায়, ফলে এমন পুরুষদের বিপরীত লিঙ্গকে আকর্ষণ করার ক্ষমতা বেড়ে যায়।

শারিরীক মিলনে পিলভিক প্লোর পেশী শক্তিশালী করে। নারীর জন্য, শাররীক মিলনের সময় সামান্য পরিমাণ কিগ্যিল তথা পিলভিক ফ্লোর ব্যয়ামে নানাবিধ উপকারিতা দেখা যায়। এতে অধিক আনন্দ (pleasure) উপভোগের সাথে যৌনাঙ্গ টাইট করা সহ অধিক বয়সে অন্য নারী বেশি সুস্থ থাকবেন। সাধারন কিগ্যিল ব্যয়ামের জন্য মিলনকালে পিলভিক পেশীকে সংকুচিত করে ধরুন যেমনটি প্রস্রাবের গতি রোধ করার জন্য করে থাকেন। সংকুচিত অবস্থায় এক থেকে তিন পর্যন্ত গুনুন এবং তার পর ছেড়ে দিয়ে স্বাভাবিক হন। একই নিয়মের পুনরাবৃত্তি করুন ১০ বার।

নিয়মিত শারীরিক বা যৌন মিলনের নিদ্রা ভালো হয়। মিলনে পূর্নতৃপ্তিতে যে অক্সিটিসন হরমোন নির্গত হয় তা ঘুমে সহায়তা করে। পর্যাপ্ত ঘুমের সাথে অন্যান্য শাররীক সুবিধা যেমন, সঠিক ওজন এবং রক্তপ্রবাহ জড়িত। আপনি আশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করবেন শারীরিক মিলন শেষে অল্প কিছুক্ষনের মাঝেই মিলনকারী নারী-পুরুষ গভীর নিদ্রায় নিমগ্ন হয়ে যায়।

এক নজরে শারীরিক বা যৌন মিলনের উপকারিতা।
যৌন মিলনে ব্যাথা কমে : গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যৌন মিলনের ফলে মাথা এবং হাড়ের জয়েণ্টের ব্যাথার ক্ষেত্রে আরাম পাওয়া যায়। ওর্গাজমের আগে অক্সিটোসিন হর্মোনের স্তর সামান্য থেকে পাঁচ গুন বেঁড়ে যাওয়ায় এণ্ড্রোফিন হর্মোন নিঃসৃত হতে থাকার ফলে মাথা ব্যাথা, মাইগ্রেন আর আর্থারাইটিসএর ব্যাথা থেকে আরাম পাওয়া যায়। তাই ব্যাথা কমানোর ওষুধ না খেয়ে শারীরিক মিলনের আনন্দ উপভোগ করুন আর ব্যাথা থেকে নিষ্কৃতি পান।

শারীরিক মিলনে ওজন কমে : যৌন মিলনের ফলে প্রচুর পরিমান ক্যালোরি খরচ হয়, তার ফলে ব্যক্তির ওজন কমে। নিয়মিতভাবে শারীরিক মিলনের ফলে পেটের স্থূলতা হ্রাস পায়, আর মাংসপেশীতে জড়তা কম দেখা যায়। অনেকে লক্ষ টাকা ব্যয় করেন ওজন কমানোর জন্য। এ ক্ষেত্রে তারা উপকার পাবেন।

নিয়মিত মিলনে কর্ম ক্ষমতা বাড়ে : শারীরিক মিলনের সময় শরীর থেকে প্রচুর পরিমানে হরমোন নিঃসরণ হয়। যার ফলে দু’জনেরই কার্য ক্ষমতা বাড়ে। পাশাপাশি নিয়মিতভাবে শারীরিক মিলনের ফলে যৌবন অটুট থাকে বলেই মত গবেষকদের।

শারীরিক মিলনের ফলে ব্যক্তি সারাদিন স্ফুর্তি অনুভব করে: সারাদিনের কাজে এই স্ফুর্তির প্রভাব দেখা যায়। এর দ্বারা সারাদিনের ক্লান্তি থেকে এবং নানা রোগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

যৌন মিলনে সৌন্দর্য্য বাড়ে: শারীরিক মিলনে হরমোন নিঃসরনের ফলে রক্তপ্রবাহের মাত্রা বেড়ে যায়। যার প্রভাব পড়ে ত্বকের ওপর। শারীরিক মিলন কালে নারীদের শরীর থেকে এস্ট্রোজেন হরমোন নিংসৃত হতে থাকে, যার দ্বারা তাদের চুল এবং ত্বক উজ্জ্বল, আকর্ষনীয় হয়ে ওঠে।

আয়ু বেড়ে যায়: বহু বছর সুস্থভাবে বাঁচতে চান কি? তাহলে আজ থেকেই সপ্তাহে ২-৩ বার শারীরিক মিলনে লিপ্ত হওয়ার পরিকল্পনা নিন। কেন এমন কথা বলছি জানেন? কারণ সম্প্রতি একদল অষ্ট্রেলিয়ান গবেষক প্রমাণ করেছেন যে যারা সপ্তাহে কম করে ৩ বার সেক্স করেন, তাদের কোনও রোগের কারণে মৃত্য়ুর সম্ভাবনা প্রায় ৫০ শতাংশ কমে যায়।

স্পার্ম কাউন্টের উন্নতি ঘটবে: ২১ শতকে মহামারীর মতো ছড়িয়ে পরছে একটি বিশেষ রোগ, যা আমরা চিনেছি বন্ধাত্ব বা নির্ফাটিলিটি নামে। এমন সমস্যা হওয়ার পিছনে অনেক কারণ দায়ি থাকে, যার মধ্যে অন্যতম হল “খারাপ স্পার্ম কাউন্ট”। আসলে আজকের জেটযুগে স্ট্রেস লেভেল এতটাই বেড়ে গেছে যে তার সরাসরি প্রভাব পড়ছে স্পার্মের উপরও। ফলে বাচ্চা নেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। এক্ষেত্রেও শারীরিক সম্পর্ক দারুনভাবে সাহায্য করতে পারে। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে প্রতিদিন যদি স্বামী-স্ত্রী শারিরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন, তাহলে স্বামীর স্পার্ম কাউন্টে দারুন উন্নতি ঘটে। তাই আপনি যদি বাচ্চা নেওয়ার পরিকল্পনা করে থাকেন, তাহলে সপ্তাহে কম করে ২ বার অবশ্যই শারীরিক সম্পর্ক করুন। এমনটা করলে দেখবেন বাচ্চা নিতে আর কোনও সমস্যাই হবে না।

ভাইরাল ফিবার দূরে পালাবে: সপ্তাহে ১-২ বার শরীরিকভাবে মিলিত হলে শরীরে “ইমিউনোগ্লোবিউলিন-এ” নামে এক ধরনের অ্যান্টিবডির সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, যা ভাইরাল ফিবার, সাধারণ জ্বর, সর্দিকাশি প্রভৃতি রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমিয়ে দেয়। প্রসঙ্গত, একটি গবেষণায় দেখা গেছে যারা সপ্তাহে ২ বারের বেশি সেক্স করেন তাদের শরীরে বিশেষ এই অ্যান্টিবডির সংখ্যা বাকিদের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।

ওজন হ্রাস পায়: সপ্তাহে ২ বার টানা ৩০ মিনিট শারীরিক মিলন করলে বছরে প্রায় ৫০০০ ক্যালোরি বার্ন হয়। ফলে ওজন হ্রাসের পথ আরও প্রশস্ত হয়। এবার বুঝতে পারছেন তো শারীরিক মিলন কতটা কার্যকরি।

শরীর রোগ মুক্ত হয়: শরীরিক মিলনের সময় আমাদের শরীরে একাধিক “অ্যান্টি-এজিং হরমোন” বা ডি এইচ ই এ- এর ক্ষরণ বেড়ে যায়, যা শরীরকে ফিট রাখার পাশাপাশি একাধিক অঙ্গের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে অনের রকম রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে শূন্যে এসে দাঁড়ায়।

মহিলাদের একাধিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে: শারীরিক মিলনের সময় মেয়েদের পেলভিক মাসল শক্তিশালী হয়ে ওঠে। ফলে প্রস্রাব সংক্রান্ত নানাবিধ সমস্যা একেবারে কমে যায়। সেই সঙ্গে ইউরিন লিকেজ এবং প্রস্রাবের সময় হওয়া নানাবিধ অসুবিধাও কমতে শুরু করে দেয়।

রক্তচাপ একেবারে স্বাভাবিক থাকে: যারা রক্ত চাপের সমস্যায় ভুগছেন তারা সপ্তাহে ২-৩ বার সেক্স করা শুরু করুন। দেখবেন ফল পাবেন একেবারে হাতে নাতে। কারণ শারীরিক মিলনের সময় শরীরে একাধিক পরিবর্তন হয়ে থাকে, যে কারণে রক্তচাপ একেবারে স্বাভাবিক লেভেলে চলে আসে। প্রসঙ্গত, স্ট্রেস কমাতেও শারীরিক মিলনের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।

ঘুম না আসার সমস্যা একেবারে কমে যায়: যেমনটা আগেও আলোচনা করা হয়েছে যে শারীরিক সম্পর্কের সময় শরীরে অক্সিটসিন হরমোনের ক্ষরণ খুব বেড়ে যায়। এই হরমোনের যখন রক্তে মেশে তখন ঘুম আসতে শুরু করে। ফলে যাদের রাতের বেলা ঘুম না হওয়ার মতো সমস্যা রয়েছে তারা এই পদ্ধতিতে এই রোগ থেকে নিজেদের দূরে রাখতে পারেন। 

পিরিয়ডের সময়কার ক্র্যাম্প লাগার সম্ভাবনা একেবারে কমে যায়: অনেক মহিলারই পিরিয়ডের সময় মারাত্মক ক্র্যাম্প লাগার মতো সমস্যা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রেও শারীরিক মিলন সাহায্য করতে পারে। কীভাবে? একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে শারীরিক মিলনের সময় মেয়েদের ইউটেরাসের পেশির কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। যে কারণে পিরিয়ডের সময় ক্র্যাম্প লাগার সম্ভাবনা হ্রাস পায়।

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়: গবেষণা বলছে, যত শারীরিক সম্পর্ক করবেন তত শরীরে বিশুদ্ধ অক্সিজেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। ফলে ত্বকে বেশি বেশি করে কোষের জন্ম হতে শুরু করবে। আর এমনটা যত হবে, তত ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেতে শুরু করবে।

নিমেষে মাথা যন্ত্রণা কমে যায়: একেবারেই ঠিক শুনেছেন। শারীরিক মিলনের সময় শারীরে অক্সিটসিন সহ একাধিক “ফিল-গুড হরমোনের” ক্ষরণ বেড়ে যায়। ফলে শুধু মাথা যন্ত্রণা নয়, যে কোনও ধরনের ব্যথাই কমে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *