আমাদের ভারত,৩০ ডিসেম্বর:গত এক বছরে ভারত থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার সময় ৩০০ জন অনুপ্রবেশকারীকে আটক বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড। ভারতে এসে এমনটাই জানিয়েছেন বিজিবির ডিজি। এরা বাংলাদেশের নাগরিকত্বেল প্রমাণ দিতে না পারলেও। জেরা করে যে তথ্য উঠে এসেছে তাতে জানা যাচ্ছে এরা বাংলাদেশের। অসৎ উপায়ে তারা ভারতে প্রবেশ করেছিল। অসমে এনআরসি আর সিএএর জেরে ফের অবৈধ ভাবে তারা বাংলাদেশে ফেরত যেতে গিয়ে ধরা পড়ে।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাস হওয়ার পর থেকে উত্তপ্ত হয়েছে ভারতীয় রাজনীতি। দেশের একাধিক প্রান্তে বিক্ষোভের আগুন জ্বলেছে। হিংসায় নষ্ট হয়েছে বহু সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি। দফায় দফায় খণ্ডযুদ্ধ বেঁধেছে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের। দেশজুড়ে বিক্ষোভ এর মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৩০ জনের। আহতের সংখ্যাও প্রচুর। উত্তর প্রদেশ দিল্লি সহ বিভিন্ন রাজ্যে জেলবন্দি হয়েছে বিক্ষোভকারীরা।
ঠিক এই পরিস্থিতিতেই বিএসএফের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের জন্য ভারতে এসেছিলেন বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের প্রতিনিধি দল। বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড এর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ডিজি শাফিনুল ইসলাম। দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ডিজি লেভেলের আধিকারিকদের নিয়ে ৪৯ তম দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়। বৈঠকের পর দিল্লিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড এর ডিজি। তিনি জানান ভারত থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার সময় ৩০০ জন অনুপ্রবেশকারীকে আটক করা হয়েছে।
তিনি বলেন সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা জাতীয় নাগরিকপঞ্জি একান্তই ভারতের আভ্যন্তরীণ বিষয়। এরজন্য দু’দেশের সীমান্তে কোন সমস্যাই হয়নি। কিন্তু গত এক বছরে ভারত থেকে বাংলাদেশে অবৈধভাবে ও প্রবেশের প্রবণতা বেড়েছে। সীমান্ত এলাকা থেকে প্রায় ৩০০জন মানুষকে আটক করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে বাংলাদেশের নাগরিকত্বের কোন কাগজ পাওয়া না গেলেও, জেরা করে তথ্য মিলিয়ে দেখা গেছে প্রত্যেকেই বাংলাদেশের নাগরিক। আর বেশিরভাগই কাজের সন্ধানে ভারতে ঢুকে বিভিন্ন জায়গায় বাস করছিল। কেউ কেউ আত্মীয়র বাড়িতে গিয়ে বসেছিল। কিন্তু কোন বৈধ কাগজ তাদের কাছে ছিল না।
এই সময়কালে অনুপ্রবেশকারীরা দেশ ছাড়ছে বলে দাবি করেছিল বঙ্গ বিজেপি। বাংলাদেশের বর্ডার গার্ডের ডিজির বক্তব্যে তাতেই সীলমোহর পড়ল। অনেকে বলছেন এক বছরে ৩০০ জন অনুপ্রবেশকারীকে আটক করেছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড কিন্তু ভারত থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে যাওয়া মানুষের সংখ্যা আরও বেশি। অসমে এনআরসি হওয়ার পর থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বিভিন্নভাবে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। আর সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাশ হওয়ার পর সংখ্যাটা আরও বেড়েছে।