আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ১৩ ফেব্রুয়ারি: তিনটি হরিণের মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো বাঁকুড়ার মুকুটমনিপুর জলাধার সংলগ্ন বনপুকুরিয়া ডিয়ার পার্কে। বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা এই তিন হরিণের মৃতদেহ দেখতে পেয়ে বনদপ্তরে খবর দেন।
রানীবাঁধ থানার পুড্ডি অঞ্চলের বনপুকুরিয়া বনাঞ্চলে এই ডিয়ার পার্কটি রয়েছে। মুকুটমণিপুর জলাধার মাঝখানে থাকায় এখানে বেড়াতে আসা পর্যটকদের একটা বড় অংশ ডিয়ার পার্ক ঘুরে যান। গত কয়েক বছর আগে ‘বাঁকুড়ার রাণী’ মুকুটমনিপুর যখন সেভাবে সেজে ওঠেনি, তখন থেকেই এখানে আসা পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্র বিন্দু ছিল এই ‘ডিয়ার পার্ক’।
কিভাবে এই তিনটি হরিণের মৃত্যু হল তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরী হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, বনপুকুরিয়া ডিয়ার পার্কে প্রায় শতাধিক হরিণ রয়েছে। যে তিনটি হরিণের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে তাদের মধ্যে দু’টি পূর্ণ বয়স্ক ও একটি শাবক রয়েছে বলে এলাকাবাসীদের তরফে দাবি করা হয়েছে। একই সঙ্গে এই ঘটনার পর বনদপ্তরের দায়িত্বশীল ভূমিকা নিয়েই এলাকাবাসী প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা শশধর মাহাতো বলেন, সকালে তিনটি হরিণের মৃতদেহ দেখতে পেয়ে বনদপ্তরে খবর দেওয়া হয়। ডিয়ার পার্কে নেটের বেড়া বিভিন্ন জায়গায় নষ্ট হয়ে গেছে। ঐ জায়গা দিয়ে ভিতরে কুকুর ঢুকে যাচ্ছে। বিষয়টি বনদপ্তরে জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি বলে তাঁর অভিযোগ। আর এক স্থানীয় বাসিন্দা কৃত্তিবাস সিং এর কথায়, কুকুরের পাশাপাশি এই এলাকায় বন্য শুয়োর ব্যাপক পরিমাণে রয়েছে। মাঝে মধ্যেই বেড়া টপকে তারা ভিতরে ঢুকে যায়। বিষয়টি নিয়ে বনদপ্তর উদাসীন।
ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে বনাধিকারিক বিজয় কুমার তিনটি হরিণ মৃত্যুর কথা স্বীকার করে বলেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এবিষয়েও তদন্ত হবে। তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে এবিষয়ে বিস্তারিত জানানো সম্ভব বলে তিনি জানিয়েছেন।