আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগনা, ১৩ ফেব্রুয়ারি:
বাংলা জুড়ে সিএএর বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেসের আন্দোলন চলছে। বিজেপির পক্ষ থেকে পালটা ১৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে সিএএর সমর্থনে বাড়ি বাড়ি, হাটে বাজারে গিয়ে প্রচার। বিজেপির অভিযোগ, তাতেও তৃণমূলের সমস্যা, সিএএর সমর্থন প্রচারে তাদের আটকাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে তৃণমূল। মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে বিজেপি নেতাদের গ্রেফতার করছে তৃণমূল সরকার এমনই অভিযোগ বিজেপি শিবিরের।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উত্তর ২৪ পরগণার হাবড়া বাজারে সিএএ নিয়ে বিজেপি নেতারা দোকানে দোকানে লিফলেট বিলি করছিলেন। সেই সময় অভিজিৎ কর্মকার নামে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন কয়েকজন বিজেপি নেতা। ঘটনাস্থলে সমস্যার সমাধানও হয়ে যায়। কিন্তু বুধবার রাতে হাবড়া থানার পুলিশ ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে হেনস্থার অভিযোগে বাসুদেব রায়, রঞ্জিত সাহা ও সঞ্জয় দাস নামে তিন বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করে।
জেলা বিজেপি নেতৃত্ব বিপ্লব হালদার বলেন, রাজ্যের খাদ্য মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের চক্রান্তে বিজেপির তিন নেতাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তিনি বলেন, হাবড়া বাজারে প্রায় তিনশো দোকানে আমারা রিফলেট বিলি করেছি। কারও সঙ্গে কোনও রকম সমস্যা হয়নি। ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ী একজন তৃণমূল সমর্থক হওয়ায় লিফলেটটা নিয়ে আমাদের সমর্থকদের সামনেই ছিঁড়ে ফেলে, তাঁকে বোঝাতে গিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। ঘটনা স্থলে তা মিটেও যায়। ঘটনার এক দিন পর হাবড়া থানায় অভিযোগ করে ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে হেনস্থার করা হয়েছে। গত কয়েক মাস তৃণমূল যেভাবে সিএএর বিরুদ্ধে মানুষকে ভুল বুঝিয়ে আন্দোলন শুরু করছিল। তাতে মানুষ আর সাড়া দিচ্ছে না। তাই আগামী দিনের পুরসভা ভোটে তৃণমূলের হাত ছাড়া হবে ভয় পেয়ে বিজেপি নেতা ও সমর্থকদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করছে খোদ জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
রাজ্যের খাদ্য মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, আমি যদি ওই নেতাদের মারতাম তাহলে ওই নেতাদের লাশ পড়ে থাকত ইছামতী নদীতে। আমি মারপিটের রাজনীতি করি না, বিজেপি নেতারা ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ীর দোকানে তোলা আদায় করতে গিয়েছিল। বিজেপির দিলীপ ঘোষ ও মুকুল রায় এই সব গুন্ডা বাহিনীদের সামনে রেখে বাংলাকে রসাতলে পাঠানোর চেষ্টা করছে। ধৃতদের বৃহস্পতিবার বারাসাত আদালতে তোলা হয়। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।