আমাদের ভারত, মালদা, ১১ ডিসেম্বর: রতুয়ায় ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় ধৃত তিন। ধৃতরা হল অজয় কুমার মন্ডল (২৬), মাঙ্গলা মন্ডল (২৫), এই দুজনের বাড়ি বিহারের আমদাবাদ থানা এলাকায়। ওপর আরেকজন হল অজয় মণ্ডল (২৬)। এর বাড়ি রতুয়া থানার গঙ্গারামটোলা গ্রামে।
পুলিশ সূত্রে খবর মঙ্গলবার গভীর রাতে রতুয়ার নাকাটি ঘাট এলাকা থেকে এই তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে এই তিনজনের কাছ থেকে ডাকাতিতে ব্যবহৃত কোনও জিনিস, লুট হওয়া টাকা, মোবাইল কোনও কিছুই উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। বুধবার ধৃতদের ১৪ দিন পুলিশ-হেফাজত চেয়ে চাঁচোল মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়।
উল্লেখ্য, মৃত ব্যবসায়ীর নাম আব্দুল বাসির (৫৮)।
বাড়ি রতুয়া থানার বাহিরকাপ এলাকায়। ঘটনায় আহত হয় ছেলে আইজুল সেখ। সে জানায়, মঙ্গলবার রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিল দুইভাই ও বাবা। তাদর সঙ্গে ছিল মহজনের তিন লক্ষ টাকা। দোকান থেকে বের হতেই তাদের পেছন থেকে ধাওয়া করে তিন ছিনতাইবাজ। এরপর তাদের পথ আটকে টাকার ব্যাগ লুঠের চেষ্টা করে। সেই সময় বাবা আব্দুল বসির বাধা দিলে তাকে লক্ষ্য করে দুই রাউন্ড গুলি চালায় দুষ্কৃতিরা। গুলি বাবার মাথায় ও আমার লাগে। সেই সময় বাবা অজ্ঞান হয়ে যান। ঘটনায় দুই ছেলের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসতেই অভিযুক্ত তিন দুষ্কৃতি পালিয়ে যায়। আহত দুই জনকে উদ্ধার করে স্থানীয় রতুয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা আব্দুলকে মৃত বলে ঘোষণা করে। ছেলে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় রতুয়া থানার পুলিশ যায়। সে আরও জানায়, দুষ্কৃতিদের মুখ কালো কাপড়ে ঢাকা ছিল ও একটি বাইকে ছিল তারা। প্রত্যেকে হিন্দি ভাষায় কথা বলছিল। তবে মনে করা হচ্ছে এই দুষ্কৃতিরা বিহার থেকে এখানে লুঠ করতে এসেছিল। কারণ রতুয়ায় থেকে বিহারের দূরত্ব খুব কম। নদী পার হলেই বাংলার সীমান্ত। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। নদী সীমান্ত টপকে কিভাবে ঢুকছে দুষ্কৃতিরা? তাহলে নদী ঘাট এলাকায় কি থাকছে না পুলিশ পেট্রোলিং!