gold, Kedarnath, ২২৮ কিলো সোনা গায়েব হয়ে গেছে কেদারনাথ মন্দির থেকে! কেন এর তদন্ত হচ্ছে না? প্রশ্ন তুললেন শঙ্করাচার্য

আমাদের ভারত, ১৫ জুলাই: দিল্লির বুকে কেদারনাথ মন্দির নির্মাণ নিয়ে তৈরি হলো বিতর্ক। আর এই বিতর্কের জেরে উঠে এলো কেদারনাথ মন্দির থেকে সোনা গায়েবের প্রসঙ্গ। প্রশ্ন তুললেন খোদ শঙ্করাচার্য অভিমুক্তেশ্বরানন্দ স্বামী। তাঁর প্রশ্ন, কেন সংবাদ মাধ্যম সরব হচ্ছে না কেদারনাথ মন্দির থেকে সোনায় গায়েব হয়ে যাওয়ার ঘটনায়।

দিল্লিতে কেদারনাথ ধাম তৈরির তীব্র বিরোধিতা করলেন জ্যোতির্মঠের শংকরাচার্য স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ মহারাজ। ১০ জুলাই উত্তর পশ্চিম দিল্লির বুরারির কাছে হিরাঙ্কি পাড়ায় এই মন্দিরের ভূমি পূজায় অংশগ্রহণ করেছিলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। ঐদিন সেখানে একটি নতুন কেদারনাথ মন্দির নির্মাণের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন হয়েছিল। কিন্তু এর তীব্র বিরোধিতা করলেন স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ। একই সঙ্গে কেদারনাথ ধামের মন্দিরের গর্ভগৃহের সোনার প্রলেপ লাগানোর কাজে কেলেঙ্কারির কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তিনি। সেই কেলেঙ্কারির তদন্তের দাবি করেছেন তিনি। শঙ্করাচার্য বলেছেন, কেদারনাথ মন্দির থেকে ২২৮ কেজি সোনা চুরি হয়ে গেছে। এর হিসেব কে দেবে?

বর্তমানে মুম্বাইয়ে আছেন স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ। অনন্ত আম্বানি এবং রাধিকা মার্চেন্টের শুভ বিবাহের আশীর্বাদ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মুম্বাই এসেছেন তিনি। সোমবার তিনি বলেছেন, কেদারনাথ মন্দির দিল্লিতে তৈরি করা যায় না। ১২ সংজ্ঞায়িত জ্যোতির্লিঙ্গ রয়েছে। এগুলির অবস্থান ঠিক করা আছে। দিল্লিতে কেদারনাথ মন্দির স্থানীয় অনধিকার চেষ্টা। এটা ভুল হচ্ছে। এরপরই তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেদারনাথের ২২৮ কেজি সোনা নিয়ে কেলেঙ্কারি হয়েছে, কেউ এটা নিয়ে মাথা ঘামায় না। এখনো কোন তদন্ত শুরু হয়নি? এর জন্য দায়ী কে? এখন বলছে দিল্লিতে কেদারনাথ তৈরি হবে। এটা হতে পারে না। কেদারনাথে কেলেঙ্কারি করার পর দিল্লিতে কেদারনাথ মন্দির তৈরি করা হচ্ছে। এরপর এখানে আরেকটি কেলেঙ্কারি হবে।

চারধাম এর চার পবিত্র হিন্দু মন্দিরের অন্যতম হলো কেদারনাথ। বাকি তিনটে ধাম হল বদ্রিনাথ, গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রী। গত বছর কেদারনাথ মন্দিরের গর্ভগৃহে সোনার প্রলেপ দেওয়ার কাজ চলছিল, সেই কাজে ১২৫ কোটি টাকার বড়সড় কেলেঙ্কারি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন কেদারনাথ মন্দিরের এক বড়িষ্ঠ পুরোহিত। তিনি দাবি করেছিলেন, সোনার বদলে পিতলের প্রলেপ দেওয়া হয়েছে। তবে মন্দির কমিটি তাঁর এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছিল। এই দিন জ্যোর্তিমঠের শংকরাচার্য এই ঘটনার তদন্তের দাবি করেন। এর আগে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার আগেই অযোধ্যায় রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করেছিলেন তিনি।

শুধু তিনি একাই নন, দিল্লিতে নতুন কেদারনাথ মন্দির তৈরি নিয়ে বিক্ষোভ রয়েছে রুদ্রপ্রয়াগের মূল কেদারনাথ মন্দিরে পুরোহিতদেরও। রবিবার কেদারনাথের দিল্লির মন্দিরের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ দেখায় কেদারনাথ মন্দিরের পুরোহিতরা। কেদারসভা ব্যানারে উত্তরাখণ্ড রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামির বিরুদ্ধে স্লোগান দেন তাঁরা। তাদের মুখপাত্র পঙ্কজ শুক্লা বলেন, আমরা মন্দির নির্মাণের বিরুদ্ধে নই, কিন্তু দিল্লির একটি ধর্মীয় ট্রাস্ট সেখানে যে কেদারনাথ মন্দির নির্মাণ করতে চাইছে আমরা তার বিরোধিতা করছি। এমনকি কেদারনাথ ধাম এলাকা থেকে যদি একটি পাথর সরানো হয় তাহলে কেদারনাথ ধামের ধর্মীয় পবিত্রতা ক্ষুন্ন হবে বলে দাবি করেছেন তাঁরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *