বাংলাদেশে গৃহবন্দি দুই ভারতীয়র পাসপোর্ট কেড়ে নিয়ে করা হল জরিমানা, দেশে ফেরার আর্জি জানিয়ে ভিডিও বার্তা বালুরঘাটের ব্যবসায়ীর

আমাদের ভারত, বালুরঘাট, ২০ মার্চ: করোনার জেরে বাংলাদেশে যাওয়া দুই ভারতীয়কে গৃহবন্দি করে পাসপোর্ট কেড়ে নেবার অভিযোগ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। জরিমানাও করা হয়েছে ১০ হাজার টাকা। আতঙ্কে দেশে ফেরার আর্জি জানিয়ে ভিডিও বার্তা বালুরঘাটের ব্যবসায়ীর। ঘটনার পরেই নিজেদের জীবন ভিক্ষা চেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কাতর আর্জি জানিয়েছেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটের চক্‌ভৃগুর বাসিন্দা পেশায় ব্যবসায়ী সুপ্রকাশ সরকার। বর্তমানে একমাত্র পুত্র সন্তান শায়ন সরকারকে নিয়ে চরম আতঙ্কে দিন কাটছে বালুরঘাটের ওই ব্যবসায়ীর। ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত তাকে গৃহবন্দি রাখা হবে বলেও বলেও স্পষ্ট জানানো হয়েছে বলেও খবর। বাংলাদেশ থেকে করা আতঙ্কিত ওই ব্যবসায়ীর ভিডিও ম্যাসেজ পেলেও তাঁর পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ পাননি বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক নিখিল নির্মল। অভিযোগ পেলেই এব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন জেলা শাসক।

জানাগিয়েছে, বৈধ পাসপোর্ট করে গত ১৩ মার্চ বাংলাদেশের বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম থানার হাটুয়া গ্রামে এক আত্মীয় পিন্টু সরকারের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন সুপ্রকাশ সরকার। সঙ্গে ছিল তাঁর ছেলে শায়ন সরকারও। এর মাঝেই করোনা আতঙ্কে বিশ্বজুড়ে চরম আতঙ্কের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। আর যাকে কাজে লাগিয়েই ভারতীয় ওই ব্যবসায়ীর কাছে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে বাংলাদেশ সরকার বলে অভিযোগ। সেখানে অন্যান্য বাসিন্দারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও ব্যবসায়ীকে তাঁর আত্মীয়ের বাড়িতেই গৃহবন্দি করে রাখা হয়। যেখান থেকে বাইরে বের হতেই তাঁকে জরিমানা দিতে হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ওই ব্যবসায়ী। আগামী ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত গৃহবন্দি হয়েই থাকতে হবে ওই ব্যবসায়ীকে বলেও কড়া হুশিয়ারি দেওয়া হয়েছে সেদেশের সরকারের তরফে বলেও অভিযোগ।

সুপ্রকাশ সরকার বলেন, তিনি তাঁর ছেলেকে নিয়ে বাংলাদেশে এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। অনুষ্ঠান শেষে সেখানেই বাংলাদেশ পুলিশ গিয়ে তাঁকে গৃহবন্দি হয়ে থাকতে বলে। যার পর বাড়ির বাইরে বের হতেই তাঁকে দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। ফলে ভারত সরকার সহ রাজ্য সরকার এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা শাসকের কাছে কাতর আর্জি জানিয়েছেন তাঁদের দেশে ফেরানোর জন্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *