আমাদের ভারত, মালদা, ১৭ ফেব্রুয়ারি: নির্মীয়মান ফারাক্কার দ্বিতীয় সেতুর গার্ডার ভেঙ্গে বিপত্তি৷ ঘটনায় মৃত দুই, আহত ৬। মৃতদের নাম শচীন প্রতাপ(৩০) ও ইঞ্জিনিয়ার শ্রীনিবাসন রাও। আহতদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক, তাদের নাম মুকেশ পান্ডে, বাড়ি দিল্লি এবং রঞ্জন কুমার মাহাত, বাড়ি বিহার ঔরঙ্গবাদে। ২জনকে আশঙ্কা অবস্থায় কলকাতায় স্থানান্তর করা হয়েছে। রাতভোর উদ্ধার কাজ চলে। সোমবার সকালেও উদ্ধার কাজ চলছে।
জানা গিয়েছে, দ্বিতীয় ফারাক্কা সেতু তৈরীর কাজ চলছিল। কাজ চলছিল জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের অধীনে। সেখানে আর কে সংস্থার কাজ চলছিল। কাল রাতে ওই সেতুর গার্ডারে জনাদশেক শ্রমিক কাজ করছিলেন। সেখানে শ্রীনিবাসন রাও নামে একজন ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। হঠাৎই হুড়মুড়িয়ে গার্ডার ভেঙ্গে পড়ে। স্থানীয়রা তড়িঘড়ি উদ্ধার কাজে হাত লাগায়। ঘটনায় ছয়জনকে উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে দুই জনের মৃত্যু হয়। বাকিরা স্থানীয় বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আশঙ্কাজনক দুইজনকে কলকাতায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
এদিকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে সেখানে পর্যাপ্ত আলো না নিয়ে কাজ করছিল। রাতেই জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যান। তিনি বলেন ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ দিনেশ হানসারী বলেন, একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে কাজ বন্ধ রয়েছে। তদন্ত করা হচ্ছে কি কারনে এই দুর্ঘটনা।
প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, কাটমানির খেলা হয়েছে। যার ফল এই বিপর্যয়। ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত হওয়া উচিত। তদন্ত হলে উঠে আসবে আসল অপরাধী করা। সরাসরি বিজেপিকে নিশানা করেন তিনি। বলেন বিজেপির একটা বড় অংশ কাটমানির সাথে যুক্ত।
উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত হবে। আমরা কাটমানি বিপক্ষে। তবে কাটমানি সঙ্গে যদি কেউ যুক্ত থাকে এবং সেই কারণে যদি বিপদে হয়ে থাকে তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিন জাতীয় সড়ক আধিকারিক এবং ঠিকাদার সংস্থার কর্মীদের সাথে কথা বলতে গিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিজেপি সাংসদ।