আমাদের ভারত, মালদা, ২৫ মার্চ: মালদা শহরের তেলিপুকুর এলাকার একটি বাড়ি থেকে এক পুরুষ ও মহিলার পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার করল ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। বুধবার সকালে এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে তেলিপুকুর এলাকায়। যদিও পুলিশ মৃত ওই দুজনের নাম ও পরিচয় জানতে পারেনি। তবে প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে একটি ফাঁকা জায়গাতেই অস্থায়ী চাটাইয়ের ঘর তৈরি করে ওই দুজন থাকতো। তবে ওরা যে ওই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা নয় তা অবশ্য আশেপাশের লোকজনদের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।
এদিন সকালে তেলিপুকুর এলাকায় পুলিশ তদন্তে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। তবে এটি খুন না আত্মহত্যা তা নিয়েও তদন্ত শুরু করেছে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির বয়স আনুমানিক ৪৫ বছর এবং মৃত মহিলার বয়স ৩৮ বছরের কাছাকাছি। ওই চাটাইয়ের ঘরে বিছানার মধ্যেই দুজনের দেহ একে অপরকে জড়িয়ে ছিল। এদিন সকালে আশেপাশের এলাকার বাসিন্দারা পচা দুর্গন্ধ পেয়ে খোঁজ শুরু করে। তখনই নজরে আসে ওই দুজনের ঘরবন্দি মৃতদেহের বিষয়টি। এরপরই খবর দেওয়া হয় ইংরেজবাজার থানার পুলিশকে। ঘটনার তদন্তে আসে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই দুজনের শরীরে রং মাখা ছিল। তাতেই অনুমান করা হচ্ছে হোলির উৎসবের মধ্যেই এই দুইজনের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে। তবে ঘটনাস্থল থেকে কোনও রকম অস্ত্র বা অন্য কোনও সামগ্রী উদ্ধার হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে দুজনের মুখ দিয়েই গ্যাঁজলা বেরিয়েছিল। দুটি মৃতদেহে পচন ধরে চরম দুর্গন্ধ
ছড়িয়েছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, তেলিপুকুর এলাকার একটি ফাঁকা জায়গায় অস্থায়ী চাটার ঘর করে ওই দুইজন থাকত বলে আশেপাশের গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন। যদিও তাদের নাম ও পরিচয় সঠিকভাবে কেউ বলতে
পারিনি। তবে এই মৃত্যুর পিছনে প্রেম সম্পর্কিত কোনও রকম বিষয় জড়িয়ে থাকতে পারে বলে অনুমান করছে তদন্তকারী পুলিশ অফিসারেরা। তবে এরা দুজনে স্বামী-স্ত্রী কি না তাও এখনো নিশ্চিত ভাবে বলা যাচ্ছে না। কারণ সেরকম কোনো তথ্য পুলিশের কাছে আসে নি। কি কারণে এই ঘটনাটি ঘটলো তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া জানিয়েছেন, তেলিপুকুর এলাকার একটি চাটাইয়ের ঘর থেকে দু’জনের পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর জানা যাবে। ওই দুজনের নাম পরিচয় জানতে তদন্ত শুরু করেছে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ।