আমাদের ভারত, ১৫ মে: সিএএ ইস্যুতে যখন গোটা দেশ উত্তাল তখনই ১৪ জন এই আইনের অধীনে নাগরিকত্বের শংসাপত্র হাতে পেলেন। এই বিধি জারি করার পর আজ নাগরিকত্ব শংসাপত্রের প্রথম সেট জারি করা হয়েছে।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন অর্থাৎ সিএএর অধীনে প্রথম ধাপে ১৪ জন নাগরিকত্ব শংসাপত্র পেয়ে গেলেন। পাকিস্তান আফগানিস্তান বাংলাদেশ থেকে নির্যাতিত হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্শী এবং খ্রিস্টান ধর্মের বাসিন্দাদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ডিজিটাল স্বাক্ষর করা শংসাপত্র ই- মেইলের মাধ্যমে অন্য অনেক আবেদনকারীকে দেওয়া হয়েছে। তবে বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় কুমার ভাল্লা নয়া দিল্লিতে কিছু আবেদনকারীর কাছে নিজে নাগরিকত্বের শংসাপত্র হস্তান্তর করেছেন। যারা নাগরিকত্ব পেয়েছেন তাদের তিনি অভিনন্দন জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে আসা নির্যাতিত হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্শী, শিখ, খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য ডিসেম্বর ২০১৯ সালে আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল। ১৯৫৫ সালে নাগরিকত্ব আইনে সংশোধন করে ২০১৯ সালে দ্বিতীয়বার সেটি পাস করিয়েছিলেন কেন্দ্রের মোদী সরকার। ২০১৪ সালে ৩১ ডিসেম্বরের পর পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্শী, খ্রিস্টান শরণার্থীদের জন্য। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, নাগরিকত্ব নিয়ম ২০২৪ অনুসারে কোন ব্যক্তি নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন একটি ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে। সম্পূর্ণ অনলাইনে আবেদন পত্র জমা দিতে হবে। সরকারের পোর্টালে অনলাইনে আবেদন করতে হয়। তারপর সে আবেদন পত্রটি পাঠানো হয় জেলা কমিটির কাছে। তারপর সেটি পাঠানো হয় এম পাওয়ার্ড কমিটিতে। এরপর নাগরিকত্ব প্রদান নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয় ওই কমিটির প্রধান। সেনসাস প্রক্রিয়ার ডিরেক্টর ছাড়া আরও সাত সদস্য থাকেন ওই কমিটিতে। তাদের মধ্যে থাকেন আইবি ফরেন রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার, পোস্ট অফিস, স্টেট ইনফর্মেশন অফিসার।
নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য অনলাইন ফর্মের সঙ্গে তিন দেশের অমুসলিম উদ্বাস্তুদের পাসপোর্ট, জন্মের শংসাপত্র, শিক্ষাগত যোগ্যতার শংসাপত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্স, রেশন কার্ড, প্যান কার্ড, জমির নথি বিদ্যুৎ বিল বিলের শংসাপত্রের মতো নথি লাগবে বলে জানাগেছে।