পশ্চিমবঙ্গে ১০ কোটি মানুষের জীবনের ঝুঁকি! আরজিকরের একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি

আমাদের ভারত, ৮ জানুয়ারি: আরজিকর হাসপাতালের একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, আরজিকর হাসপাতালে যে ধরণের দুর্নীতি চলছে তাতে সরাসরি রাজ্যবাসীর জীবন ঝুঁকির মুখে পড়েছে। তাই এই বিষয়েগুলির ক্ষেত্রে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার আশায় তারা বাধ্য হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, পশ্চিমবঙ্গের ১০ কোটি মানুষের জীবন এই মুহূর্তে বড়সড় ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তাই তারা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, আরজিকর হাসপাতালের মেডিক্যাল ওয়েস্ট ডিসপোজ না হয়ে কোথায় চলে যাচ্ছে তা জানার উপায় নেই। তাঁর কথায়, “এগুলো কোন জেলায় গিয়ে কোন জেলা হাসপাতালে ব্যবহার হবে, কোনো ব্যক্তি বা কোনো রোগীর দেহে এইডসের জীবাণু বা অন্য কোনো সংক্রামক রোগের জীবাণু প্রবেশ করবে তা কেউ বলতে পারে না। তাই দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি।

তাঁর আরও অভিযোগ, আরজিকর মেডিকেল কলেজের ছাত্রদের অ্যাকাডেমিক ফান্ডের টাকা ছাত্রদের পড়াশোনার কাজে ব্যবহার না হয়ে অন্য কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। হাসপাতালে টেন্ডার হচ্ছে, কিন্তু কাটমানি ছাড়া সেই টেন্ডার কেউ কিছুই পায় না। তাঁর দাবি, বিশেষ একটি কোম্পানি আরজিকর মেডিকেল কলেজে ল্যাব তৈরি করে আবার পর্দাও সাপ্লাই করছে। সেই কোম্পানিই কলেজের সমস্ত টেন্ডার পায় আর কেউ পায় না।

সুকান্ত মজুমদারদের আরও অভিযোগ, যে মডেলের মেশিন অন্য হাসপাতালে অনেক কম দামে কেনা হয়েছে সেই একই মেশিন আরজিকরে অনেক বেশি দামে কেনা হয়েছে। সেই তথ্য প্রমাণ তারা আদালতের কাছে জমা দিয়েছেন। আরজিকর হাসপাতালের অধ্যক্ষ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত বলেও তাদের অভিযোগ। তাঁর কথায়, যাকে বারবার বদলি করা সত্ত্বেও তিনি বারবারই সেখানে ফিরে আসেন। সুকান্ত মজুমদার প্রশ্ন তুলেছেন, কোন জাদু বলে তিনি বার বার বদলি হবার পরেই মেডিকেল কলেজে ফিরে আসতে পারে তা জানা নেই। সুকান্তবাবু জানান, এই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ সরকারের কাছে গেছে এমনকি কেন্দ্রীয় এজেন্সির কাছেও গেছে।

এরপরই রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি বলেন, তৃণমূলের আমলে দুর্নীতি, চুরি-চামারি হবে এটা আমরা একরকম ধরেই নিয়েছি। এটা অনেকটা ধ্রুব সত্যের মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে। চুরি ধ্রুব সত্য তৃণমূলের জন্য। তৃণমূল ও চুরি একে অপরের সমার্থক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *