আমাদের ভারত, ১০ জানুয়ারি: গঙ্গাসাগর মেলায় সোমবার এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর দু’দিন গঙ্গাসাগরে এলেন বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। মঙ্গলবার বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ এসেছিলেন মেলা প্রাঙ্গণে। বুধবার এলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সকাল দশটায় নামখানা থেকে মুড়িগঙ্গা নদী পেরিয়ে বেনুবন হয়ে গঙ্গাসাগরে পৌঁছান সুকান্ত। দুপুরে সমুদ্র স্নান করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। পুজো দেন কপিল মুনি আশ্রমে। এরপর সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মেলার ব্যবস্থাপনা নিয়ে কটাক্ষ করেন তিনি।
সোমবার থেকে গঙ্গাসাগর মেলা শুরু হয়েছে, সোমবার সেখানে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মেলার আনুষ্ঠানিক সূচনার পর মেলার একাধিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে কথা বলেন। পাশাপাশি কেন্দ্র এক পয়সাও সাহায্য করে না সে প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, কুম্ভ মেলার থেকেও বড় মেলা গঙ্গাসাগর, কিন্তু কেন্দ্র এক পয়সাও সাহায্য করে না। এর পাল্টা জবাব দিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে সাহায্য পেতে গেলে তো প্রধানমন্ত্রীকে বলতে হবে, তাকে উদ্বোধনে ডাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর দু’চারটে ছবি থাকতে হবে। গোটা মেলা প্রাঙ্গণ দেখে মনে হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া আর কেউ নেই।
তিনি আরো বলেন, পুলিশ মাইকিং করছে যে, সরকার নির্ধারিত ভাড়া দিয়ে আসবেন। কিন্তু সরকার নির্ধারিত ভাড়া কি? রেট চাট কত? পুন্যার্থীদের কাছ থেকে যে যেরকম পাচ্ছেন লুটে নিচ্ছেন।
সুকান্ত মজুমদার প্রশ্ন তোলেন, গঙ্গাসাগরে হেলিকপ্টার সার্ভিসটা কোথায় চলে? সেটার কোনো খোঁজ পাওয়া যায় না। তার জন্য ১৯ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। ড্রোজিং করাতে ৩০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু দু’মাস পরে ড্রোজিংয়ের কি অবস্থা হয় দেখবেন। আবার ড্রোজিং না করলে ভেসেল পার করা যাবে না।
রাজ্য সরকারের তরফে দাবি করা হচ্ছে, গঙ্গাসাগর মেলাতে ২০০ কোটি টাকা খরচ হয়।সুকান্ত মজুমদার প্রশ্ন করেন ২০০ কোটি টাকা কোথায় যায় সেটা খোঁজ নিয়েছেন? মুখ্যমন্ত্রীর ছবিতে কি চলে যায় বেশিরভাগ টাকা? গেট করতে কত খরচ হয়?