আমাদের ভারত, ২৫ অক্টোবর: প্রবল ঘূর্ণিঝড় ডানা নিয়ে আশঙ্কায় ছিল সবাই। অনেক আগে থেকেই ঝড় মোকাবিলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ করা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি আটকাতে ওড়িশার নয়া বিজেপি সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ উদাহরণ তৈরি করেছে বলে দাবি করে প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
নিজের এক্স হ্যান্ডেলে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তিনি লিখেছেন, ওড়িশায় ক্ষমতায় আসার পর বিজেপি নেতৃত্বাধীন মোহন চরণ মাজি সরকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় একটি উদাহরণ স্থাপন করেছেন।প্রযুক্তি এবং সক্রিয় পরিকল্পনার মাধ্যমে ওড়িশার উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জীবন রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।” তিনি আরো লিখেছেন, ৬ হাজার গর্ভবতী মহিলা সহ ৬ লক্ষ মানুষকে লাল সতর্কতা জারি থাকা এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল সরকার। আর এর ফলেই হতাহতের সংখ্যা শূন্য।” ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী শ্রী মাজির প্রতি আন্তরিক অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। একই সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর অনুপ্রেরণায় বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপি সরকার নাগরিক সুরক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও লিখেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার তপনে বস্ত্র বিলি কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেছেন, ঝড় নিয়ে যখন মানুষ চিন্তায় তখন তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিসে পিকনিক হচ্ছে। কারণ দুর্যোগ মানে তৃণমূলের রোজগার করার সুযোগ হওয়া। কারণ প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে ত্রাণের ত্রিপল, চাল চুরি করার সুযোগ এসে যায় তৃণমূলের কাছে।
রাজ্যের মহিলাদের উপর হয়ে চলা নির্যাতন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে আর জি কর থেকে জয়নগর, আলিপুরদুয়ারের কথা তুলে ধরেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। একই সঙ্গে কর্মসংস্থানের প্রশ্নে তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গ একসময় গোটা দেশকে পথ দেখাতো। দেশের অন্যান্য অংশের মানুষ চাকরি না পেলে কাজ করার জন্য কলকাতায় আসতো। আর আজ কাজের সন্ধানে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দারা ভিন রাজ্যে চলে যাচ্ছে।