জে মাহাতো, মেদিনীপুর, ৬ সেপ্টেম্বর: যুবশ্রী কর্মপ্রার্থীদের উৎসাহভাতা চালু করার এবং কাজে নিয়োগের দাবিগতে মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনের ঠিকানায় চিঠি পাঠাচ্ছে অল বেঙ্গল ইউথ অ্যসোসিয়েশনের মেদিনীপুর শাখা। শুক্রবার মেদিনীপুরে কয়েকশো যুবক যুবতী এই মর্মে একটি পথ বিক্ষোভ সভারও আয়োজন করেছিল। তারপরেই মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে সেই দাবি জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় l
উল্লেখ্য, বর্তমান রাজ্য সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০১২ সালে কর্মবিনিয়োগ কেন্দ্রের নাম নথিভুক্ত করা এবং বেকার কর্মপ্রার্থীদের জন্য এমপ্লয়য়মেন্ট ব্যাঙ্ক নামে একটি ওয়েব পোর্টাল চালু করে। পরে ২০১৩ সালের মার্চ মাসে সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়, যে সকল কর্মপ্রার্থী এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্কে নাম নথিভুক্ত করেছেন ওই ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে তাদের মধ্যে প্রথম একলক্ষ কর্মপ্রার্থীদের প্রতি মাসে ১৫০০ টাকা করে উৎসাহ ভাতা দেওয়া হবে এবং একবছরের মধ্যে বিভিন্ন সরকারি দপ্তর থেকে শুরু করে স্কুল, কলেজ, পঞ্চায়েত থেকে স্বাস্থ্য প্রত্যেকটি দপ্তরে এই একলক্ষ কর্মপ্রার্থী যুবশ্রীদের নিয়োগ করা হবে। কিন্তু দীর্ঘ ৭ বছর ধরে যুবশ্রীদের দেওয়া এই প্রতিশ্রুতি পুরন করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ।
রাজ্য সরকারের দেওয়া এই প্রতিশ্রুতি পুরনের দাবিতে যুবশ্রীদের নিয়ে প্রতিটি জেলায় অরাজনৈতিক সংগঠন অল বেঙ্গল ইউথ অ্যসোসিয়েশন গড়ে তুলেছেন কর্মপ্রার্থীরা।

অল বেঙ্গল ইউথ অ্যসোসিয়েশনের পশ্চিম মেদিনীপুর শাখার জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক গৌরিশংকর করন জানান, “আমরা একত্রিত হয়ে প্রত্যেক জেলার জেলা শাসকের দপ্তরে এবং কলকাতায় মূখ্যমন্ত্রীর প্রধান কার্যালয় থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি প্রশাসনিক সভাতে সংগঠনের পক্ষ থেকে জেলা নেতারা স্মারকলিপি দিয়েছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও কোনো পদক্ষেপই নেই রাজ্য সরকারের। দীর্ঘ ৭ বছর প্রতিক্ষার পর এই কঠিন মহামারী কোভিড ১৯ পরিস্থিতিতে আমরা খুবই দূর্দশাগ্রস্ত। আমরা অনলাইনেও মাননীয় মন্ত্রী মলয় ঘটককে ডেপুটেশন দিয়েছি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি প্রতিটি জেলা থেকে মাননীয়া মূখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের ঠিকানায় চিঠি পাঠাবো এবং সেই কাজ শুরু হয়েছে। এরপরেও যদি সরকার আমাদের সমস্যা সমাধানে এগিয়ে না আসে তাহলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামবো।

