আমাদের ভারত, ৪ নভেম্বর: সোমবার শিয়ালদা আদালতে আর জি কর মেডিকেল কলেজের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের মামলায় চার্জশিট গঠনের পরেও নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করল মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়। প্রিজন ভ্যানে ওঠার সময় সংবাদ মাধ্যমের কাছেও সে একই কথা বলেছে। আর প্রসঙ্গ টেনে আবারও বিজেপির রাজ্য সভাপতি দাবি করেছেন, সত্যকে চাপা দেওয়ার চেষ্টা প্রকাশ্যে চলে আসছে। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দ্যেশ্যে তিনি লিখেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনেই খুব তাড়াতাড়ি অন্ধকার দিন আসতে চলেছে।
৯ আগস্ট আর জি কর মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার পরেই সঞ্জয়কে গ্রেফতার করা হয়। কলকাতা পুলিশের এই সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ আনা হয় কলকাতা পুলিশের তরফে। এরপর সিবিআইও সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে, কিন্তু সঞ্জয়ের দাবি, সে পুরোপুরি নির্দোষ। তাকে ফাঁসানো হয়েছে। তার অভিযোগ, সরকার ও পুলিশ বিভাগ তাকে নীরব থাকার জন্য ক্রমাগত চাপ দিচ্ছে। সুকান্ত মজুমদার সঞ্জয়ের বলা কথাগুলো উল্লেখ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, সঞ্জয় রায়ের আজ আদালতের বাইরে বলা কথাগুলি আবারও আর জি কর- এ তরুণী ডাক্তারের নির্মম ধর্ষণ খুন এবং সত্যকে ধামাচাপা দেওয়ার প্রচেষ্টাকে প্রকাশ্যে আনল। সুকান্ত মজুমদার দাবি করেছেন, এটা বেশিরভাগ মানুষ বিশ্বাস করেন যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশ বাহিনীর উপর তার প্রভাব খাটিয়ে এই জঘন্য অপরাধে জড়িতদের রক্ষা করার চেষ্টা করেছেন।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন, “আগামীতে আপনার সামনে আরও অন্ধকার দিন আসছে। এখন সবে সেটা শুরু হয়েছে। তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদঘাটিত হওয়ার সাথে সাথে সেই অন্ধকার সময় কত তড়িঘড়ি আপনার কাছে আসে দেখুন।”
প্রসঙ্গত আজ শিয়ালদহ আদালত থেকে প্রিজন ভ্যানে ওঠার সময় সঞ্জয় সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের উদ্দেশ্যে চিৎকার করে বলতে থাক, “আমি এতদিন চুপচাপ ছিলাম। আমি রেপ এন্ড মার্ডার করিনি। আমার কথা শুনছে না। সরকারই আমাকে ফাঁসাচ্ছে। আমি এতদিন চুপচাপ ছিলাম আমাকে সব জায়গায় ভয় দেখাচ্ছে যে তুমি কিছু বলবে না। আমার ডিপার্টমেন্টও ভয় দেখিয়েছে আমি নির্দোষ।” জানাগেছে, আদালতেও নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছে সঞ্জয়।
এদিকে সোমবার শিয়ালদা আদালতে চার্জ গঠনের পর জানানো হয়েছে ১১ নভেম্বর থেকে শুনানি শুরু হবে। রোজ শুনানি চলবে। কলকাতা পুলিশের পর সিবিআইও সঞ্জয়কেই একমাত্র ধর্ষক ও খুনি বলে দাবি করেছে। এমনকি তার বিরুদ্ধে আদালতে প্রমাণও পেশ করেছে সিবিআই।