সায়ন ঘোষ, আমাদের ভারত, বনগাঁ, ৩০ মার্চ:
শরীরে করোনা ভাইরাস বাসা বেঁধেছে। এমনই ভুয়ো গুজব ছড়ানোয় আত্মহত্যা করল এক যুবক। মৃত যুবকের নাম রাকেশ দাস, বয়স ২৬ বছর। পেশায় আইসক্রিম ব্যবসায়ী। রবিবার বিকালে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার কেমিয়া এলাকায়।
পরিবার সূত্রে জানাগিয়েছে, রাকেশের কর্মসূত্রে কলকাতায় যাতায়াত ছিল। কাজ ঠিক মত না হওয়ায় ১৪ দিন আগে কলকাতা থেকে ফিরে আসে। তারপর থেকে অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। সেখান থেকে পাড়ায় রটে যায় রাকেশের শরীরে করোনা ভাইরাস বাসা বেঁধেছে। এমত অবস্থায় তার মাকেউ ছেলের সঙ্গে দেখা করতে দিচ্ছিলো না প্রতিবেশীরা এমনই অভিযোগ। এমন কি তাকে বাড়ির বাইরেও বেরতে দেওয়া হত না।
কিন্তু চাঁদপাড়া হাসপাতালে তাকে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসক তার পরীক্ষা করে করোনার কোনও লক্ষণ খুজে পাননি। পরিবারের দাবি, ছেলেটি অনেক দিন থেকেই ব্রংকাইটিসে ভুকছিল। করোনা আক্রান্ত রটে যাবার পর এলাকার আশা কর্মীরা বাড়িতে এসে রিপোর্ট পরীক্ষা করে দেখে করোনার কথা নস্যাৎ করে দেন। তাতেও এলাকায় গুজব কমেনি। রবিবার বিকেলে রাকেশ নিজের ঘরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।
তার পরিবারের দাবি “পাড়ার লোকজনের করোনার মিথ্যা অভিযোগের জন্যই আত্মগ্লানিতেই ছেলে আত্মহত্যা করেছে।” গ্রামবাসীদের এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তারাও এই রটনার কথা স্বীকার করেন।
গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য বিশ্বজিত ঘোষ এই ভুয়ো রটনার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি বলেন, শোনা মাত্রই সকলকে সচেতন করেছেন এ বিষয়ে এবং গ্রামের আশা কর্মীদের রাকেশের বাড়িতে পাঠিয়েছিলাম। গ্রামবাসীর কাছে আবেদন করেছিলাম কোনও ধরণের গুজব না ছড়াতে। পরে শুনলাম ছেলেটি আত্মহত্যা করেছে।