ফেসবুকের মাধ্যমে প্রেমে পড়ে শ্রীঘরে বালুরঘাটের যুবক, চকভৃগুর বাড়ি থেকে উদ্ধার কেরলের কিশোরী

আমাদের ভারত, বালুরঘাট, ১৯ নভেম্বর: হোটেল কর্মীর ফেসবুক জালে কেরলের কিশোরী। বিয়ের একমাস পর বালুরঘাটে গ্রেপ্তার চকভৃগুর যুবক। কিশোরীকে ফুসলিয়ে পালিয়ে নিয়ে আসার অপরাধে মঙ্গলবার চকভৃগুর মিস্ত্রী পাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্ত ওই যুবককে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ওই যুবকের নাম শুভ রায়। ধৃতের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রজু করে বুধবার আদালতে পাঠাবে পুলিশ। ঘটনায় আটক কিশোরীকে এদিনই চাইল্ড লাইনের হাতে তুলে দিয়েছে বালুরঘাট থানার পুলিশ।

বালুরঘাট থানার আইসি জয়ন্ত দত্ত জানিয়েছেন, পুলিশ লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নেমেছেন।

পুলিশ জানায়, মালদার একটি হোটেলে কাজ করার সময় ফেসবুকে কেরলের এক কিশোরীর সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে বালুরঘাটের চকভৃগুর বাসিন্দা শুভ রায়ের। ফেসবুকে উভয়ের সম্পর্ক শেষ পর্যন্ত গড়ায় প্রেমে। গত প্রায় এক মাস আগে কেরল থেকে পালিয়ে ওই কিশোরী মালদায় এসে হোটেল কর্মীকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় বলে দাবি শুভোর পরিবারের। বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করারও হুশিয়ারি দেয় ওই কিশোরী বলে অভিযোগ তার পরিবারের। যার পরেই গত লক্ষ্মী পুজোর দিন বালুরঘাটের বোল্লা মন্দিরে কেরলের ওই কিশোরীকে বিয়ে করে বালুরঘাটের চকভৃগুর যুবক। চলে হানিমুনও।

বাড়ির লোকের অমতে ও পালিয়ে বিয়ে করায় ভাড়া বাড়িতেই থাকতে হয় দুজনকে। পরে ঘটনা জানতে পেরে বাড়িতে আশ্রয় দেয় শুভোর পরিবার। এদিকে কিশোরী মেয়ের সন্ধানে হন্নে হয়ে কেরল থেকে বালুরঘাটে ছুটে আসে বাবা-মা। প্রায় একমাস পর মেয়ের খোঁজ পেতেই ঘটনা জানিয়ে স্থানীয় বালুরঘাট থানার দ্বারস্থ হন কেরলের ওই পরিবার। লিখিত অভিযোগ পেতেই ঘটনার তদন্তে নেমে মঙ্গলবার সকালে চকভৃগুর বাড়ি থেকে অভিযুক্ত ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে বালুরঘাট থানার পুলিশ। বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া কিশোরীকে এদিন তুলে দেওয়া হয়েছে চাইল্ড লাইনের হাতে।

কিশোরীর মা জানিয়েছেন, তার মেয়েকে ফুসলিয়ে নিয়ে এসে বিয়ে করেছে ওই যুবক। অভিযুক্তের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চান।

অভিযুক্ত যুবকের মা শিপ্রা রায় জানিয়েছেন, তাঁর ছেলের উপর চাপ সৃষ্টি করেই বিয়ে করে ওই মেয়েটি। তার বয়স গোপন করে এমন কান্ড করেছিল। পুলিশ তার ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে। এই ঘটনার সঠিক তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *