সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়, দমদম, ৫ জানুয়ারি: ৪ দিন নিখোঁজ থাকার পর, দমদমের প্রমোদনগরে ভাগাড় থেকে উদ্ধার হল তরুণের দেহ। বর্ষবরণের রাতে বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি করতে বেরিয়েছিলেন পল্লব হাজারি (১৯)। দুই বন্ধু বিশাল যাদব ও জিতু নায়েক তাকে ডেকে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। তারপরে রবিবার সকালে এলাকার প্রমোদনগরের একটি ভ্যাটে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। ওই দুই বন্ধুকেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হলে তারা নিজেদের দোষ স্বীকার করে নেয় বলে দাবি পুলিশের।
পুলিশ সূত্রে খবর, ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি, দমদম থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে তরুণের পরিবার। তখন মৃতের মায়ের সঙ্গে এসেছিল এই দুই তরুণ। পল্লবের মোবাইল সুইচড অফ থাকায় সন্দেহ হওয়ায়, বিশাল ও জিতুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ।
পুলিশের দাবি, ইট দিয়ে বুকে আঘাত করে পল্লবকে খুনের কথা কবুল করে দুই বন্ধু। প্রমাণ লোপাট করতে দেহ ভাগাড়ে ফেলে দেওয়া হয় বলে পুলিশের দাবি। এদিন ভোরে সেখান থেকেই উদ্ধার হয় তরুণের মৃতদেহ।
তরুণের মোবাইল ফোনটি এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। সেটি উদ্ধার করা গেলে তদন্ত আরও দ্রুত এগোবে বলে মনে করছেন পুলিশের আধিকারিকরা। এদিকে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মৃতের মা। তিনি বলেন, ”৮০০ টাকার জন্য দুই বন্ধুই তাঁর ছেলেকে খুন করেছে। আমি ওকে ওদের সাথে মিশতে বারণ করতাম। কিন্তু ও কথা শুনতো না। কিন্তু এটা হবে, আমি ভাবতে পারিনি।”