ট্যাংরায় প্রতিবেশী ভাড়াটেকে বাঁচাতে গিয়ে বাড়িওয়ালার কাঁচির কোপে খুন যুবক

রাজেন রায়, কলকাতা, ১৮ অক্টোবর: বাড়ি প্রোমোটিংয়ের জন্য ভেঙ্গে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাড়ির মালিক। কিন্তু ভাড়াটে উঠতে না চাওয়ায় শনিবার রাতে ঝামেলা শুরু হয়। আর তার জেরেই শনিবার রাতে মারাত্মক কাণ্ড ঘটিয়ে ফেললেন ট্যাংরার ডি সি দে রোডের বাসিন্দা বাড়িওয়ালা অনিল দাস। অভিযোগ, অন্য এক ভারাটেকে মারতে বাধা দেওয়ায় ভাড়াটে মনোজ রামকে কাঁচি দিয়ে কুপিয়ে খুন করেন তিনি। আহত হয়েছেন সুনীল দাস নামে আরও একজন। এই ঘটনায় অনিল দাস, রবি দাস, বাদামিয়া দাস, সঞ্জয় দাস, অশোক দাস এবং বেবি দাস নামে ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রোমোটিংয়ের জেরে বিবাদ বা ভাড়াটের বাড়ি দখলের চেষ্টাকে ঘিরে বাড়িওয়ালার সঙ্গে বিবাদের ঘটনা হামেশাই ঘটে থাকে। কিন্তু এ ধরনের ঘটনা নিতান্তই ব্যতিক্রম।স্থানীয়দের অভিযোগ, ভাড়াটে সুনীল দাসের সঙ্গে বাড়ির মালিক অনিল দাসের শনিবার রাত ১০টা নাগাদ ঘর ভাড়াকে কেন্দ্র করে বচসা বাধে এরপরই ঘটনা গুরুতর হতে থাকে। জানা গিয়েছে, পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার রাতে বাড়ির মালিক অনিল, ভাড়াটে সুনীলকে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এই ঘটনার পর তার কাকার ছেলে মনোজ রাম প্রতিবাদ করলে অনিল তাকে কাঁচি দিয়ে পেটে আঘাত করে। তখন বাড়িওয়ালার সঙ্গে বাকি ৬ জনও মনোজ ও সুনীলকে আক্রমণ করে। মনোজের মাথায় কাঠের বাটাম দিয়েও মারা হয় বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

মনোজকে এন আর এস হাসপাতাল এ নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনার পর পরিবারের ৭ জনকে আটক করেছে ট্যাংরা থানার পুলিশ। মনোজের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকেও নমুনা সংগ্রহ করেছে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *