দু-এক দিনে আরো অনেক কিছু দেখতে পাবেন, রাজভবন থেকে বেরিয়েই বলেছিলেন সুকান্ত, বিকেলেই জারি রাজ্যপালের কড়া বিবৃতি

আমাদের ভারত, ১১ ফেব্রুয়ারি: শনিবার প্রায় দু’ঘন্টা একান্তে বৈঠক করেন সুকান্ত এবং রাজ্যপাল। আর রাজভবনে বৈঠকের পরে যখন তিনি সাংবাদিকদের সামনে এসে দাঁড়ান তখন সুকান্তকে দৃশ্যতেই খুশি মনে হয়েছিল, কারণ বৈঠকে আলোচিত বিষয় নিয়ে বলার পর তার সংযোজন ছিল আগামী দুই এক দিনে আরো অনেক কিছু দেখতে পাবেন। আর এই মন্তব্যকে যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ আজকের বৈঠকে বিরোধী দল ও নয়া রাজ্যপালের সম্পর্কের মধ্যে কার রসায়ন যে একটা অন্য মাত্রা পেয়েছে তা স্পষ্ট।

সুকান্ত বলেন, এক একজনের কাজের স্টাইল এক একরকম। লোকায়ুক্ত নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপালের নেওয়া পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন সুকান্ত। রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকের পর জানান সুকান্ত, রাজ্যের একাধিক বিষয় নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে তাঁর আলোচনা হয়েছে। বিভিন্ন বিষয় রাজ্যপাল তাকে আশ্বস্ত করেছেন।

সুকান্ত বলেন, উনি আশ্বস্ত করে বলেছেন, সবার উপরে সংবিধান তার উপরে কিছু নেই। এর আগে যিনি রাজ্যপাল ছিলেন মাননীয় লা গণেশনের সময় লোকায়ুক্ত গঠন করতে বলা হয়েছিল কিন্তু তা আইন মেনে হয়নি। এ বিষয়ে রাজ্যকে জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল বোস। এজন্য বিধানসভার আগামী অধিবেশনে অর্ডিন্যান্স জারি হবে বলেও জানান সুকান্ত। বিজেপির রাজ্য সভাপতির সংযোজন, রাজ্যপাল জানিয়েছেন দুর্নীতির ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি নেওয়া হবে। তার পাশাপাশি রাজ্যপাল বলেছেন, রাজনীতিতে হিংসার কোনো জায়গা নেই। সুকান্ত জানান, বিভিন্ন জায়গায় হিংসার ঘটনা ঘটেছে, এসব ব্যাপারে ওর সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে।

আজ রাজ্যপালের সঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতির বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।সুকান্ত বলেছেন, রাজ্যপালের ভূমিকায় তিনি খুশি, তার কথায়, “এই যে লোকায়ুক্তর কথা বললাম আমাদের রাজ্যপাল সেটা অসংবিধানিক বলে রাজ্যকে জানিয়ে দিয়েছেন। তা সংবাদমাধ্যমের সামনে আনেননি তিনি।” এরপরই সুকান্তর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য,”আগামী দুই একদিনে আরো অনেক কিছু দেখতে পাবেন। আর তারপরেই বিকেলে রাজভবনের তরফে রাজ্যপাল রাজ্যের ক্ষেত্রে কড়া বিবৃতি জারি করেন। আর তারপরেই বিকেলে রাজভবন থেকে সেই সাক্ষাতের কথা উল্লেখ করে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। সে বিবৃতিতে আনন্দ বোস রাজ্যের বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে কড়া অবস্থানের কথা স্পষ্ট করেছেন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে রাজ্যপাল জানিয়েছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করার ক্ষেত্রে যথাসময়ে কার্যকরী ও সক্রিয় হস্তক্ষেপ করা হবে। নির্বাচনে হিংসার কোন স্থান নেই এবং আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট যাতে অবাধ শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয় তাও নিশ্চিত করা হবে। পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে শাসকদলের হিংসার কথা যে বিজেপি সভাপতি তাকে জানিয়েছেন তাও নিজের বিবৃতিতে উল্লেখ করে দিয়েছেন রাজ্যপাল আনন্দ বোস। মনে করা হচ্ছে সুকান্তর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, এই বিবৃতি দিয়ে পথ চলা শুরু করল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *