রাজেন রায়, কলকাতা, ৯ আগস্ট: মহামারীর সময় রাজ্য সরকারের বিনামূল্যে রেশন সুবিধা পেতে ডিজিটাল রেশন কার্ড করার জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছেন অনেক মানুষই। সংক্রমণের ভয়ে বিভিন্ন রেশন অফিসে দৌড়ঝাঁপ করা এখন সম্ভব নয়। এদিকে সরকারও চাইছে ফুড কুপন থাকা সমস্ত মানুষজনের ডিজিটাল রেশন কার্ড তৈরি করিয়ে নিতে। সেই কারণে এবার বাড়িতে বসে স্মার্ট ফোন থেকেই নতুন রেশন কার্ডের আবেদন করার জন্য নতুন পন্থা জানাল খাদ্য দফতর।
কিভাবে নতুন রেশন কার্ডের জন্য আবেদন করা যাবে? জানা গিয়েছে, এর জন্য লাগবে ১০ টি বিশেষ প্রয়োজনীয় কাগজ। আবেদনকারীকে প্রথমে নিজের রাজ্যের সরকারি ওয়েবসাইটে লগইন করতে হবে। এরপর ‘অ্যাপ্লাই অনলাইন ফর রেশন কার্ড’ লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে। রেশন কার্ড তৈরির জন্য আইডি প্রুফ হিসেবে আধার কার্ড, ভোটার আইডি, পাসপোর্ট, হেলথ কার্ড বা ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া যেতে পারে। রেশন কার্ড তৈরির জন্য ৫ থেকে ৪৫ টাকা চার্জ দিতে হতে পারে৷ আবেদন পত্র পুরণ করার পর চার্জ জমা দিয়ে অ্যাপ্লিকেশন জমা করতে হবে।
আবেদন পত্র পুরণ করে চার্জ ও অ্যাপ্লিকেশন জমা দেওয়ার পর ফিল্ড ভেরিফিকেশন হবে। আবেদন সঠিক হলে রেশন কার্ড তৈরি হয়ে যাবে। তবে নিজের রাজ্যের ওয়েবসাইট জেনে নিয়ে আবেদন করতে হবে। পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দারা https://wbpds.gov.in/ এই ওয়েবসাইটে গিয়ে অ্যাপ্লিকেশন করতে পারেন।
প্রসঙ্গত, রেশন কার্ড তিন প্রকারের হয়ে থাকে : দারিদ্রসীমার উপরে (APL), দারিদ্রসীমার নীচে (BPL), অন্ত্যোদয় ক্যাটাগরিতে বিপুল সংখ্যক গরিব পরিবার রয়েছে। এই ক্যাটাগরি যে কোনও ব্যক্তির বার্ষিক আয়ের উপর নির্ভর করে৷ রেশন কার্ড তৈরি করার জন্য নিম্নলিখিত এই শর্তগুলো মানতে হবে:
ব্যক্তিকে ভারতের নাগরিক হতে হবে ৷ আবেদনকারী ব্যক্তির কাছে অন্য রাজ্যের রেশন কার্ড থাকলে হবে না৷ যার নামে রেশন কার্ড তৈরি হচ্ছে তার বয়স ১৮ বছরের বেশি হতে হবে। ১৮ বছরের কম বয়সী বাচ্চার নাম তার বাবা মায়ের রেশন কার্ডে সামিল করা হবে। এই সমস্ত নিয়ম ঠিক থাকলে তবেই রেশন কার্ড পাওয়া যাবে।

