আমাদের ভারত, ২০ জানুয়ারি: বাম ছাত্র রাজনীতির আঁতুড়ঘড় হিসেবেই পরিচিত দেশের অন্যতম বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়। বিজেপি সরকারও মনে করে এই বিদ্যালয়ে শহুরে নকশালদের দাপট রয়েছে। ছাত্র রাজনীতির নামে এখানে অতি বামেদের বাড়বাড়ন্ত রয়েছে। কিন্তু ২০২৪-এ সেই বামপন্থার বাড়বাড়ন্ত থাকা জেএনইউতেই উল্টো পুরাণ দেখা যাচ্ছে। ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার লাইভ দেখানো হবে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে।
জানাগেছে, আর এস এসের অর্থাৎ সংঘের নির্দেশে দেশের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরেও লাইভ সম্প্রচারের আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের এবিভিপি সদস্যরা। মন্দিরে পুজো দিয়ে ঐদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের মধ্যে প্রসাদও বিলি করা হবে বলে জানাগেছে।
আট বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ছাত্র সংসদের সভাপতি তথা তৎকালীন বাম নেতা কানহাইয়া কুমার ও সংগঠনের সদস্য ওমর খালিদ সহ অনেকেই গ্রেফতার হয়েছিল। উপ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে। কানাহাইয়া কুমার পরবর্তীতে মুক্তি পেলেও ওমর খালিদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মামলা চলছে। এরপর ২০২০ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন সভানেত্রী ঐশী ঘোষ আক্রান্ত হয়েছিলেন ক্যাম্পাসে। তিনি অভিযোগ তুলেছিলেন এবিভিপি সদস্যরা অন্ধকার হোস্টেলে ঢুকে দাপাদাপি করছে। তখন থেকেই বাম ও এবিভিপি ছাত্র সংগঠনের মধ্যে চুড়ান্ত প্রতিদ্বন্দ্বীতা স্পষ্ট হয়ে যায় বাইরেও। এবার সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ২২ তারিখ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মতো রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার লাইভ সম্প্রচার হবে, যা অবশ্যই তাৎপর্যপূর্ণ। সংঘের নির্দেশেই বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়েও ওইদিন লাইভ দেখানোর ব্যবস্থা করেছে এবিভিপি। ঐদিন গোটা প্রক্রিয়া যাতে নির্বিঘ্নে সম্প্রচারিত হয় তার জন্য বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও এবিভিপিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে।