আশিস মণ্ডল, সিউড়ি, ১০ নভেম্বর: চোরাই সোনার কারবারের রমরমা। তাতে যুক্ত স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের একাংশ। একাংশ সোনার দোকান থেকেই চোরাই সোনার সামগ্রী কেনাবেচা করছেন তেমন চক্রের হদিশ পেয়েছে পুলিশ। ৯টি মামলা রুজু হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে চোরাই সামগ্রী।
দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ রয়েছে চোরাই সোনার কারবারের। জেলার নানা প্রান্তে গৃহস্থ থেকে দোকান- অসংখ্য চুরির ঘটনা ঘটেছে। যেমন মুরারই- এ কিছুদিন আগেই সোনার দোকান লুট হয়ে গিয়েছে। চিনপাইয়ে এক গৃহস্থের বাড়ি থেকে দুষ্কৃতিরা লুট করেছে ৩১ ভরি সোনা। ফলে চোরাই সোনার কারবারীদের সাথে পরোক্ষে এই চুরিগুলির যোগসূত্রের আভাস মিলেছে। তারই পরিসংখ্যান তুলে ধরে পুলিশি পদক্ষেপে কী সফলতা এসেছে তা সোমবার জানিয়েছেন জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্তারা। সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে ৯টি চুরির মামলায় উদ্ধার হওয়া সোনার গয়না সহ কাঁসার বাসনপত্রের পরিসংখ্যান দিয়েছেন বীরভূমের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বোলপুর) রাণা মুখোপাধ্যায়। সাংবাদিক বৈঠক করেছেন তিনি। ছিলেন বোলপুরের এসডিপিও রিকি আগরওয়াল সহ শান্তিনিকেতন ও ইলামবাজার থানার ওসি, বোলপুর থানার আইসি প্রমুখরা।
পুলিশ জানিয়েছেন, এই ৩টি থানায় গত দেড় মাসে ১২টি চুরির ঘটনা ঘটেছে। ১২টি মামলার মধ্যে ৯টি মামলায় সাফল্য পেয়েছে বীরভূম পুলিশ। চুরি যাওয়া সামগ্রীর প্রায় ৭০ শতাংশ উদ্ধার সহ ১৪ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। পাশাপাশি ছিনতাই হওয়া একটি টোটোও উদ্ধার হয়েছে। সেই সাথে ভরি ভরি সোনার গয়না, ইলামবাজারে মন্দিরে চুরি যাওয়া কাঁসা-পিতলের বাসনপত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
সাংবাদিক বৈঠকে পুলিশ আধিকারিক জানান, “বোলপুরে চোরাই সোনার গয়না কেনাবেচার চক্র সক্রিয় রয়েছে। সোনার দোকানও পুলিশের নজরে আছে। বেশ কিছু স্বর্ণ ব্যবসায়ীর সরাসরি মদত আছে কারবারে। আমরা কড়া বার্তা দিতে চাই, যারা এতে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে আরও কঠিন পদক্ষেপ নেব। চোরাই মাল কেনাবেচা করা কেউ পাড় পাবে না।“

