আমাদের ভারত, ২৪ মে: যস মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করলেন বাংলার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হওয়া এই বৈঠকে একাধিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। সূত্রের খবর বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজে অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ও আন্দামান-নিকোবরের প্রশাসনিক প্রধানদের বেশ কয়েকটি বিষয়ে কড়া নজর রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজ্যগুলিতে পাওয়ার ব্যাকআপের পরামর্শ দিয়েছেন অর্থাৎ বিকল্প বিদ্যুৎ পরিষেবা সরবরাহের ব্যবস্থার কথা তিনি উল্লেখ করেছেন। পূর্ব উপকূলেই এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়বে। সেক্ষেত্রে অক্সিজেন প্ল্যান্টের সুরক্ষার ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে। পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলে প্রায় ২৪টি অক্সিজেন প্ল্যান্ট রয়েছে তার সুরক্ষা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। অক্সিজেন এবং করোনার ওষুধ সহ প্রয়োজনীয় ওষুধ অতিরিক্ত হারে মজুদ রাখার কথা বলা হয়েছে। অবিচ্ছন্ন যোগাযোগ রেখে চলতে হবে আবহাওয়া দপ্তরের সঙ্গে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী প্রস্তুত থাকতে হবে।
ঘূর্ণিঝড়টি দুর্বল হতেই জল, বিদ্যুৎ সরবরাহ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিশ্চিত করতে হবে। উপকূলীয় অঞ্চলের বাসিন্দাদের নিরাপদ দূরত্বের নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। খালি করতে বলে দেওয়া হয়েছে উপকূলীয় সমস্ত অঞ্চল।
যস মোকাবিলার প্রস্তুতিতে কোনো ফাঁক রাখতে চাইছে না কেন্দ্র। তার জন্যই রাজ্য কতটা প্রস্তুত তা জানতে এই বৈঠক করেন অমিত শাহ। এর আগে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকরা। ওই বৈঠকে টেলিকম, বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিকরাও ছিলেন। বিপর্যয়ের আগেই যাতে সব প্রস্তুতি সেরে ফেলা যায় সে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে খাবার, জল, ওষুধ, অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসের, যাতে কোনওভাবে অভাব না হয়। কোভিড পরিস্থিতিতে কোভিড সেন্টার, সেফ হোম, হাসপাতালগুলিতে যাতে কোনো সমস্যা না হয় সেগুলো নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ৬৫টি দলকে ইতিমধ্যেই মোতায়েন করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ওড়িশায়। আরো ২০টি দল তৈরি রয়েছে। বাংলাদেশের জাহাজ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বিএসএফ। প্রস্তুত রয়েছে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, উপকূল রক্ষী বাহিনীও।