আমাদের ভারত, কলকাতা, ২৯ মে: কলকাতার শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বন্দর (এসএমপিকে) বৃহস্পতিবার ‘নাভিক (এনএভিআইসি) সেল-১১’-এর অধীন দ্বিতীয় কর্মশালার আয়োজন করল। সেখানে আলোচনার মূল বিষয় ছিল—ভূমি, সম্পদ ও বন্দর-কেন্দ্রিক শিল্পায়ন। কর্মশালার সভাপতিত্ব করেন এসএমপিকে-র চেয়ারপার্সন রথেন্দ্র রামন। দেশজুড়ে বিভিন্ন বড় বন্দরের এস্টেট বিভাগের আধিকারিকরা সরাসরি ও ভার্চুয়াল মাধ্যমে কর্মশালায় অংশ নেন।
পিআইবি সূত্রে জানানো হয়েছে, চেন্নাই বন্দর কর্তৃপক্ষ, ভি. ও. চিদাম্বরনার বন্দর কর্তৃপক্ষ (তুতিকোরিন), পারাদ্বীপ বন্দর কর্তৃপক্ষ, বিশাখাপত্তনম বন্দর কর্তৃপক্ষ, মুম্বই বন্দর কর্তৃপক্ষ, হলদিয়া ডক কমপ্লেক্স ও কলকাতা ডক সিস্টেম-এর প্রতিনিধিরা কলকাতায় কর্মশালায় সরাসরি উপস্থিত ছিলেন। জওহরলাল নেহরু বন্দর কর্তৃপক্ষ (জেএনপিএ), নিউ ম্যাঙ্গালোর বন্দর কর্তৃপক্ষ (এনএমপিএ), এবং কোচিন বন্দর কর্তৃপক্ষ (কোপা)-র প্রতিনিধিরা ভার্চুয়াল মাধ্যমে সংযুক্ত হন। ফলে সর্বভারতীয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়।
এই কর্মশালায় কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিশদ আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়— ভাড়াটিয়া ও প্রাক্তন ভাড়াটিয়াদের জন্য সংশোধিত ‘এককালীন নিষ্পত্তি প্রকল্প’ (ওটিএসএস), বর্তমান দখলকারীদের জন্য নতুন ‘ওটিএসএস’ প্রবর্তন, দখল লঙ্ঘনের বৈধতা দেওয়ার জন্য একটি মানক কার্যপ্রণালী (এসওপি) তৈরি, একটি মানক ইজারা চুক্তির খসড়া প্রণয়ন, নিয়োগ সংক্রান্ত নিয়মাবলি (আরআর)-এর পর্যালোচনা এবং নানা বন্দরের এস্টেট বিভাগের জন্য একটি প্রস্তাবিত শ্রেণিবিন্যাস কাঠামো।
কর্মশালায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রামন বলেন, ওটিএসএস প্রকল্পটি বর্তমান ও প্রাক্তন ভাড়াটিয়াদের দখলকে বৈধ করার জন্য একটি সুবিচারসঙ্গত সুযোগ দিচ্ছে। এটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা বিরোধ নিষ্পত্তি করতে এবং আইনি মামলার সংখ্যা কমাতে সাহায্য করবে।
কর্মশালার শেষে অংশগ্রহণকারী বন্দরগুলির মধ্যে এই বিষয়ে ঐকমত্য গড়ে ওঠে যে ওটিএসএস-এর মতো প্রকল্পগুলি বিবাদ কমাতে ও স্বচ্ছতা বাড়াতে কার্যকর ভূমিকা নেবে।