আমাদের ভারত, ৩১ জুলাই: জাতীয় কৃষি ও গ্রামোন্নয়ন ব্যাঙ্ক (নাবার্ড) পশ্চিমবঙ্গের ২১টি জেলায় ১১৮টি আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণ কেন্দ্র স্থাপন করেছে। ১৭৩টি ব্লকে পাঁচটি লিড ব্যাঙ্কের সঙ্গে অংশীদারিত্বে হয়েছে এগুলো। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ডিইএএফ (ডিপোজিটর এডুকেশন অ্যান্ড অ্যাওয়্যারনেস ফান্ড)-এর সহায়তায়, কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের অন্তর্গত পিআইবি কলকাতার উদ্যোগে শুক্রবার আয়োজিত হয় ‘বার্তা’ কর্মশিবির।
আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে আসে। কর্মশিবিরটি ছিল মূলত কর্মরত সাংবাদিকদের জন্য, যাতে তাঁরা ভারতের আর্থিক কাঠামো ও নতুন উদ্যোগগুলি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পান।
শুরুতেই “এক পেড় মা কে নাম” অভিযানের অন্তর্গত বৃক্ষরোপণ ও প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন পিআইবি-র মহানির্দেশক (পূর্বাঞ্চল) টি. ভি. কে. রেড্ডি। তিনি মিথ্যা তথ্যের যুগে গণমাধ্যমের দায়িত্ব ও পিআইবির সদর্থক ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন।
নাবার্ড-এর চিফ জেনারেল ম্যানেজার পি. কে. ভরদ্বাজ মূল বক্তৃতায় আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণের ইতিহাস, কাঠামো ও ‘নাবার্ড’-এর ভূমিকা তুলে ধরেন। তিনি জানান, পশ্চিমবঙ্গে ২১টি জেলায় ১৭৩টি ব্লকে ১১৮টি আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। আর্থিক সচেতনতা বাড়াতে মোট ₹৫০০ কোটি বরাদ্দ করা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে স্টেট লেভেল ব্যাঙ্কার্স কমিটির (এসএলবিসি) দায়িত্বে পিএনবি। তার জেনারেল ম্যানেজার বলবীর সিং জানান, রাজ্যে ৫.৩৮ কোটিরও বেশি ‘জনধন অ্যাকাউন্ট’ খোলা হয়েছে। এর মোট আমানত ₹২৫,০০০ কোটি। এছাড়া, ৫৮ লক্ষ মানুষ বৃদ্ধ বয়সের জন্য ‘অটল পেনশন যোজনা’র সুবিধা পেয়েছেন। রাজ্যে ঋণ-আমানত অনুপাত ৭০%।
তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে ৪৫ লক্ষ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সংস্থা রয়েছে এবং তাদের জন্য বন্ধক-মুক্ত ঋণের ব্যবস্থা রয়েছে। পাশাপাশি, স্টার্টআপ ইন্ডিয়া, খাদি কমিশন ও শিক্ষার্থীদের জন্য ঋণ প্রকল্পগুলির কথাও উল্লেখ করেন।
এই কর্মশিবিরে আলোচনার মাধ্যমে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণে সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা ও দায়িত্ব সম্পর্কে গভীর মনন গড়ে ওঠে। অনুষ্ঠানের শেষে সাংবাদিকদের শংসাপত্র দেওয়া হয়।
‘বার্তা’ কর্মশিবির পিআইবির তথ্যনির্ভর ও দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা চর্চার একটি ইতিবাচক উদ্যোগ হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে।

