স্নেহাশীষ মুখার্জি, আমাদের ভারত, নদীয়া, ৩ মে:
করোনা প্রকোপে সমগ্র রাজ্য জুড়ে চলছে লকডাউন। কাজ হারিয়ে ঘরে বসে আছে প্রচুর শ্রমজীবী মানুষ। নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জের জমিতে, আড়তে কাজ করতেন প্রচুর শ্রমজীবী মানুষ। লকডাউনে এখন সব বন্ধ, তাই স্বাভাবিকভাবেই পেটে পড়েছে টান। সে কারণে এক জায়গা থেকে মুরগির খাঁচা কিনে পাড়ায় পাড়ায় বিক্রি করে এখন তাদের সংসার চলছে। ৫০ থেকে ৬০ টাকায় এই খাঁচাগুলো কিনে ৮০ টাকায় বিক্রি করছে। তবুও সবাই ভালো দাম দিচ্ছে না।
এরকমই একজন বিশ্বনাথ দাস জানান, এই মারণ রোগের আগেও মোটা চালের ভাত আর ডাল খেয়ে কোনও রকমে কষ্টে-সৃষ্টে দিন গুজরান হত। এই মহামারীতে কাজ গেছে। ঘরে উনুন জ্বলছে না। খাবারের একফোঁটা দানাও অবশিষ্ট নেই। পুলিশের ভয়ে বেরোতেও পারছি না। জমা কটা টাকা ছিল সেটাও শেষ হয়ে গেছে। মুদির দোকানে অনেক টাকা বাকি পড়ে আছে। মুদিও আর ধার দেবে না বলেছে। এখন তাই বাড়ি বাড়ি মুরগির খাঁচা বিক্রি করছি। তবুও সবাই ভালো দাম দিচ্ছে না।
জানিনা এভাবে আর কতদিন বাঁচব। ঘরেতে অনটন, বাইরে পুলিশের চোখ রাঙানি, আর আড়তদারদের কাছে টাকা চাইতে গেলে মুখ ঝামটা। আমরাও তো মানুষ। এভাবে কি সত্যিই বাঁচা যায়? ভেবে দেখুন একবার আমাদের মতন দিন আনি দিন খাওয়া খেটে খাওয়া মানুষদের কিভাবে চলবে!