সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ৯ অক্টোবর:
ডিভিসির পেনশন ফান্ড অন্যের হাতে তুলে দেওয়ার অফিস অর্ডার বাতিল, পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খন্ডের বিভিন্ন প্রকল্প ও সাব স্টেশনে কলকাতার হেডকোয়াটার্সের কর্মীদের হাউস রেন্টের সমতুল্য এফসিএ দেওয়ার দাবিতে এবং ঠিকা শ্রমিকদের জন্য সমকাজে সম বেতন সুনিশ্চিত করতে একযোগে আন্দোলনে নামলেন ডিভিসির বর্তমান স্থায়ী কর্মীদের যৌথমঞ্চ, পেনশনার ফোরাম ও ঠিকা শ্রমিকদের যুক্ত মোর্চা। সোমবার দুপুরে ঝাড়খন্ডের কোডারমা থেকে এরাজ্যের দামোদর উপত্যকার ডিভিসির সমস্ত প্রজেক্টের সাথে সাথে একযোগে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সামিল হলেন মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের সমস্ত কর্মীরা।
ডিভিসি পেনশন ফোরামের সম্পাদক সাগর কর্মকার বলেন, ডিভিসির কর্মীদের নিজস্ব পেনশন ফান্ড রয়েছে। বর্তমানে ডিভিসির হাতে আমাদের দেওয়া ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি টাকা রয়েছে পেনশন ফান্ডেই। আমাদের যে ১৭ হাজার পেনশনার রয়েছে এবং আগামী দিনে অবসর নেওয়ার পরও যে অবসর প্রাপ্ত কর্মীর সংখ্যা যুক্ত হবে ফান্ডের টাকায় তা সুরক্ষিত থাকবে। এর জন্য ডিভিসিকে ঋণ বা অন্য কারো কাছে অনুদানের জন্য হাত পাততে হবে না। সাগর কর্মকার বলেন, অথচ ডিভিসির উপরতলার কয়েক জন আধিকারিক পেনশন ফান্ড অন্য সংস্থার হাতে তুলে দিয়ে নিশ্চিন্তে ডিভিসিকে নিয়ে বাণিজ্য করতে চাইছে। এই মর্মে গত ২৮ এপ্রিল একটি কালা অফিস অর্ডার বের হয়েছে। এনিয়ে আমরা সমস্ত পেনশনাররা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে হেডকোয়াটার্সে ধরনা অবস্থান করে স্মারকলিপি জমা করেছি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ এখনও সেই অর্ডার বাতিল করেনি তাই বাধ্য হয়ে এই বৃদ্ধ বয়সেও আন্দোলনে নামতে হচ্ছে।
কর্মী সংগঠনগুলির যৌথমঞ্চের আহ্বায়ক অরিন্দম ব্যানার্জি বলেন, ডিভিসি কর্তৃপক্ষ কর্মীদের উপর একের পর এক আর্থিক বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে অথচ ন্যায্য দাবি মানছে না। স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুদীপ দত্ত বলেন, এফসিএ দেওয়ার হার আচমকা কমিয়ে দিয়েছে। আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদন করছি। এতদিন আমরা কোয়ার্টারের জন্য ফ্রি বিদ্যুৎ পেতাম। এখন তা দিতে হচ্ছে। যারা কোয়ার্টারে থাকেন না তারা হাউস রেন্ট পেতেন। এপ্রিল মাস থেকে তা বন্ধ করে দিয়েছে।
সিটু নেতা সুমন গোস্বামীর দাবি, তারা ভোটে জিতে ৫৭ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে একমাত্র কর্মী সংগঠনের স্বীকৃতি পেয়েছেন। তবুও সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা না করে একের পর এক অনৈতিক অর্ডার বের করে চলেছে। তাই আন্দোলনে যাওয়া ছাড়া আমাদের কোনও উপায় নেই। অন্যদিকে ঠিকা শ্রমিকরাও মোর্চা তৈরি করে একসাথে আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন। এদিন ১২ দফা দাবিতে স্মারকলিপ দেন বিক্ষোভকারীরা।
এবিষয়ে মেজিয়া বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রিন্সিপাল চিফ ইঞ্জিনিয়ার ও প্রকল্প প্রধান সুশান্ত ষন্নীগ্রাহী বলেন, দাবি সনদ চেয়ারম্যানের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।