সুশান্ত ঘোষ, বনগাঁ, ২ মে: সীমান্তে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধের দাবিতে শ্রমিক বিক্ষোভে আজ উত্তপ্ত হয়ে উঠল বনগাঁর পেট্রাপোল। তাঁদের অভিযোগ, কয়েকজন অসাধু ব্যবসায়ী এই সীমান্ত বাণিজ্য শুরু করেছে। জিরো পয়েন্টে পণ্য খালাসের জন্য বাংলাদেশি শ্রমিকদের আনাগোনা বাড়ছে। ফলে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা তাঁদের। এই দাবিতে শনিবার তাঁরা সীমান্তে আন্দোলন শুরু করেন। যদিও পেট্রাপোল ল্যান্ড অথরিটির মতে, কেন্দ্র ও রাজ্যের অনুমোদন নিয়েই সীমান্ত বাণিজ্য শুরু হয়েছে। বাংলাদেশি শ্রমিকদের থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কার কথাও উড়িয়ে দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
লকডাউনের জেরে দীর্ঘ ৩৭ দিন পর বনগাঁর পেট্রাপোল সীমান্তে শুরু হয়েছে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য। কেন্দ্রের অনুমতি সাপেক্ষেই তা চালু করা হয়েছে। নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যবিধি মেনে, ন্যূনতম কর্মীকে কাজে লাগিয়ে তবেই বাণিজ্য হবে। বৃহস্পতিবার থেকেই ভারত-বাংলাদেশের পেট্রাপোল সীমান্তে চালু হয়েছে আমদানি-রপ্তানি। ফলে বাংলাদেশি শ্রমিকরা ব্যবসার কাজে সীমান্ত পেরিয়ে এদেশে আসার সুযোগ পাচ্ছেন। এই ইস্যুতেই শনিবার পেট্রাপোল সীমান্তে শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করেন। তাঁদের অভিযোগ, এই আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হোক। কারণ, এই ব্যবসা চালু করেছে কয়েকজন অসাধু ব্যবসায়ী। জিরো পয়েন্টে পণ্য খালি করতে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিকরা আসছেন, এতে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। এই আশঙ্কা প্রকাশ করে তাঁরা বাণিজ্য বন্ধ করার দাবি তোলেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে বিএসএফ, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করে।
অন্যদিকে ভারতের পেট্রাপোল এবং বাংলাদেশের বেনাপোল বন্দর দিয়ে দুদেশের সীমান্ত বাণিজ্য বন্ধ হয়ে গেলে ভারতকে হারাতে হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রা। পেট্রাপোল শুল্ক দফতর সূত্রের খবর, লকডাউনের পর থেকে বন্দরে প্রায় ৫০০টি পণ্যভর্তি ট্রাক দাঁড়িয়ে পড়েছে। একদিন রফতানি বন্ধ হলে ভারতেকে ১০০ কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা হারাতে হয়।
পেট্রাপোল ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি ম্যানেজার শুভজিৎ মন্ডল জানিয়েছেন, কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের অনুমতিক্রমে রপ্তানি শুরু হয়েছে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের শ্রমিকরাই কাজ করছে। সংক্রমণ ছাড়ানোটা অসম্ভব। পরবর্তীতে যদি সরকারি কোনও নির্দেশ আসে সেই অনুসারে কাজ চলবে।