আমাদের ভারত, ১৩ জুন: বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের সঙ্গে দেখা হয়েছে, কথা হয়েছে পরিবার-পরিজনদের সঙ্গেও। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে দেহ শনাক্তকরণের প্রক্রিয়া। ডিএনএ ধরে চলছে পরিচয় প্রকাশের কাজ। শুক্রবার সাংবাদিকদের এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, এই দুর্ঘটনায় গোটা দেশ
নড়েচড়ে বসেছে। এই ঘটনা সত্যিই কাম্য নয়। কেন্দ্রীয় সরকার, গুজরাট সরকার, প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে আমি মৃতদের পরিবার-পরিজনকে সমবেদনা জানাই। কেন্দ্র ও রাজ্যের সমন্বয়ের মাধ্যমে উদ্ধার কাজ চলছে।
বৃহস্পতিবার দুর্ঘটনার পর সমাজ মাধ্যমজুড়ে ভাইরাল হয়েছিল একাধিক ছবি। যেখান থেকে বোঝা গিয়েছে, ভেঙ্গে পড়া বিমান থেকে উদ্ধার হয়েছে একের পর এক ঝলসানো দেহ। মুখ দেখে পরিচয় বোঝা একেবারে কঠিন। এই পরিস্থিতিতে কিভাবে শনাক্তকরণের কাজ চালাচ্ছে কেন্দ্র?
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রতিটা দেহের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে তাদের সম্ভাব্য পরিবারের ডিএনএ’র সঙ্গে মিলিয়ে শনাক্তকরণের কাজ করছেন চিকিৎসকরা। এ প্রসঙ্গে অমিত শাহ বলেন, ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের কাজ দু’ঘণ্টার মধ্যে শেষ করেছেন চিকিৎসকরা। যে সকল মৃতের পরিবার পরিজনরা বিদেশে থাকে তারা দেশে এসে ডিএনএ নমুনা দিলে সরকার সেই মতো কাজ করবে।
আমেদাবাদে দুর্ঘটনার ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমেছে বিমান দুর্ঘটনা তদন্তকারী বিওরো। ইতিমধ্যেই উদ্ধার হয়েছে ব্ল্যাকবক্স। এবার অপেক্ষা এই দুর্ঘটনার কারণ জানার।