পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১২ জুন: বুধবার রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিকের সঙ্গে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করলেন তৃতীয়বারের সাংসদ দেব। ভোট মিটতেই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়িত করতে উদ্যোগী সাংসদ দেব। বৈঠকের পর দেব তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোষণা করেছেন, “শীঘ্রই প্রকল্পের কাজ শুরু হতে চলেছে।” মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ।
খুব শীঘ্রই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানকে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে আজ প্রশাসনিক সভা হলো। ঘাটালের মানুষের সহযোগিতা নিয়ে এই প্রকল্পটি শীঘ্রই শুরু হবে।” বৈঠকে রাষ্ট্রমন্ত্রি সাবিনা ইয়াসমিন এবং সেচ ও জলপথ দফতরের প্রশাসনিক আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। দেবের মতো সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিকও এবার লোকসভা ভোটে ব্যারাকপুর কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন। তিনি জিতেওছেন। নিয়ম বলে, সাংসদ হিসাবে শপথ গ্রহণের আগে পর্যন্ত তিনি সেচমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব সামলাতে পারবেন।
সেই নিয়ম মেনে মাস্টার প্ল্যানের কাজ শুরুতে বুধবারের এই বৈঠক। ঘাটালের নির্বাচনে তুরুপের তাস ছিল সেই ‘ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান।’ সেই ১৯৫৯ সাল থেকে মান সিংহের রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রকল্পের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। এক সময় অবশ্য এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হওয়ার পথে অনেকটাই এগিয়েছিল। বাম আমলেই টাকা বরাদ্দের পর ঘটা করে প্রকল্পের উদ্বোধনও হয়েছিল। তবে মাঝপথে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে টাকা বরাদ্দ নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্যের টালবাহানায় আটকে রয়েছে গোটা প্রকল্প।
ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, ওই প্রকল্প রাজ্য সরকার একাই কার্যকর করবে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরেই লোকসভা ভোটের প্রচারে কেন্দ্রে থেকেছে এই মাস্টার প্ল্যান। শাসক দল বিভিন্ন সভা, রোড-শো’য়ে মাস্টার প্ল্যানকে প্রচারে টেনে এনেছিল। পিছিয়ে ছিল না বিজেপিও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক প্রচারে এসে জানিয়েছিলেন, মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়িত করবে রাজ্য সরকারই।