নারী শক্তি বন্দন অধিনিয়ম! ঈশ্বর আমাকেই বেছেছিলেন এর জন্য, মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে প্রত্যয়ী মোদী

আমাদের ভারত, ১৯ সেপ্টেম্বর: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সভা গতকালই অনুমোদন দিয়েছিল নারী সংরক্ষণ বিলের। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ প্যাটেল পরবর্তীতে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বিষয়টি ঘোষণা করেন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে লেখেন, নারী সংরক্ষণ দাবি পূরণ করার নৈতিক সাহস কেবলমাত্র মোদী সরকারেরই ছিল। তাই এই বিলকে অনুমোদনও দিয়েছে মোদী মন্ত্রীসভা। এর মাধ্যমে সরকারের নৈতিক সাহস প্রমাণিত হয়েছে। নরেন্দ্র মোদী জি এবং মোদী সরকারকে অভিনন্দন। আজ সেই বিলটি নতুন সংসদ ভবনের লোকসভায় পেশ করেন আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘাওয়াল।

তবে তার আগে এই বিষয় সংসদের নিম্ন কক্ষে নিজের বক্তব্য রাখেন মোদী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, নতুন সংসদ ভবন ঐতিহাসিকভাবে পথ চলা শুরু করল আজ। এই উপলক্ষে সংসদের প্রথম কার্যক্রম হিসেবে নারী শক্তির প্রবেশদ্বার উন্মোচনকারী গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই সরকার। নারী নেতৃত্বাধীন উন্নয়নে আমাদের সংকল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমাদের সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ সংবিধান সংশোধনী বিল আনছে। লোকসভা এবং রাজ্য সভায় মহিলাদের সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর লক্ষ্যে এই বিলটি তৈরি করা হয়েছে। “নারী শক্তি বন্দন অধীনিয়ম ” আমাদের গণতন্ত্রকে আরো শক্তিশালী করবে।

মোদী বলেন, মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে বহুদিন ধরে আলোচনা চলছে। অটল বিহারী বাজপেয়ীর শাসনকালে মহিলা সংরক্ষণ বিল বেশ কয়েকবার উত্থাপিত হয়েছিল। কিন্তু বিলটি পাস করানোর জন্য যথেষ্ট সংখ্যা গরিষ্ঠতা না থাকায় সেই স্বপ্ন অসম্পূর্ণ থেকে যায়। ঈশ্বর আমাকে এটিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ দিয়েছেন। আমাদের সরকার আজ উভয় কক্ষে মহিলাদের অংশগ্রহণের বিষয়ে একটি নতুন বিল আনছে।

বিরোধীদের অনেকেই দাবি তুলেছিল সংসদের এই বিশেষ অধিবেশনে নারী সংরক্ষণ বিল পাস করানো হোক। কংগ্রেসের তরফে বলা হয়েছিল এই বিল পেশ হলে তারা সমর্থন করবেন। তবে বিশেষ অধিবেশনের জন্য তালিকাভুক্ত বিলগুলির মধ্যে ছিল না নারী সংসংরক্ষণ বিল। গতকাল বিশেষ অধিবেশনের প্রথম দিনের সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সভার বৈঠক বসে। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে এই বিলটি অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রথা অনুযায়ী বৈঠকের পর কোনো সাংবাদিক সম্মেলন হয়নি। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘোষণা করা হয়।

এই বিল অনুযায়ী লোকসভা এবং সব রাজ্যের বিধানসভায় মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে ৩৩ শতাংশ আসন। তপশিলি বা তপশিলি উপজাতির জন্য সংরক্ষিত আসনের মধ্যেও এক তৃতীয়াংশ সংরক্ষিত থাকবে এসসি, এসটি নারীদের জন্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *